ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার
চার দিনের সফরে

রোহিঙ্গা সংকট কাটাতে সহযোগিতা দিতে জাতিসংঘ অঙ্গীকারবদ্ধ: গুতেরেস

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তহবিল জোগানের আহ্বান জানান।

গুতেরেস বলেন, “রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ যা করেছে তা প্রশংসনীয়। রোহিঙ্গা সংকট কাটাতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে জাতিসংঘ।” তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও তহবিল জোগান দেওয়ার আহ্বান জানান। গুতেরেস বলেন, “বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তি রক্ষার অন্যতম বড় অংশীদার। বাংলাদেশ গণতন্ত্র এবং সমৃদ্ধির পথে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফর অন্তর্বর্তী সরকার এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত অর্থবহ। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণের জন্য পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।”

 

তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, “আমরা রোহিঙ্গাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা, অধিকার নিশ্চিত করে ফেরত পাঠাতে চাই। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহায়তা কাম্য।”

রোহিঙ্গা সংকট একটি জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হামলার পর প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় জনগণ তাদের মানবিক সহায়তা দিলেও, তাদের প্রত্যাবাসন ও স্থায়ী সমাধান এখনো অমীমাংসিত। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা ছাড়া এই সংকট সমাধান করা কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে।

 

জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফর ও তার প্রতিশ্রুতি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের মধ্যে এই সহযোগিতা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের পথ সুগম করতে পারে।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

চার দিনের সফরে

রোহিঙ্গা সংকট কাটাতে সহযোগিতা দিতে জাতিসংঘ অঙ্গীকারবদ্ধ: গুতেরেস

প্রকাশিত: ০৭:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তহবিল জোগানের আহ্বান জানান।

গুতেরেস বলেন, “রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ যা করেছে তা প্রশংসনীয়। রোহিঙ্গা সংকট কাটাতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে জাতিসংঘ।” তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও তহবিল জোগান দেওয়ার আহ্বান জানান। গুতেরেস বলেন, “বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তি রক্ষার অন্যতম বড় অংশীদার। বাংলাদেশ গণতন্ত্র এবং সমৃদ্ধির পথে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফর অন্তর্বর্তী সরকার এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত অর্থবহ। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণের জন্য পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।”

 

তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, “আমরা রোহিঙ্গাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা, অধিকার নিশ্চিত করে ফেরত পাঠাতে চাই। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহায়তা কাম্য।”

রোহিঙ্গা সংকট একটি জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হামলার পর প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় জনগণ তাদের মানবিক সহায়তা দিলেও, তাদের প্রত্যাবাসন ও স্থায়ী সমাধান এখনো অমীমাংসিত। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা ছাড়া এই সংকট সমাধান করা কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে।

 

জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফর ও তার প্রতিশ্রুতি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের মধ্যে এই সহযোগিতা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের পথ সুগম করতে পারে।