ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বদেশে ফেরাতে সব করবো: গুতেরেস

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য নিরাপত্তা ও তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

 

জাতিসংঘ মহাসচিবের গুতেরেস  বলেন, রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের মিয়ানমারে নিরাপদে ফেরত পাঠানোর জন্য জাতিসংঘ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। তিনি উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও দায়িত্ব রয়েছে। গুতেরেস রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশার কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বহনকারী একটি চার্টার্ড ফ্লাইট কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম তাদের স্বাগত জানান। ২টা ১০ মিনিটের দিকে গুতেরেস উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পৌঁছান। তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব উখিয়ায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে অংশ নেন।

গুতেরেস রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও জোরালো ভূমিকা কামনা করেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দুর্দশা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং তাদের মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

এই সফরে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনযাত্রা ও তাদের জন্য বাংলাদেশের সরকার ও স্থানীয় জনগণের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বদেশে ফেরাতে সব করবো: গুতেরেস

প্রকাশিত: ১০:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য নিরাপত্তা ও তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

 

জাতিসংঘ মহাসচিবের গুতেরেস  বলেন, রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের মিয়ানমারে নিরাপদে ফেরত পাঠানোর জন্য জাতিসংঘ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। তিনি উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও দায়িত্ব রয়েছে। গুতেরেস রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশার কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বহনকারী একটি চার্টার্ড ফ্লাইট কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম তাদের স্বাগত জানান। ২টা ১০ মিনিটের দিকে গুতেরেস উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পৌঁছান। তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব উখিয়ায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে অংশ নেন।

গুতেরেস রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও জোরালো ভূমিকা কামনা করেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দুর্দশা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং তাদের মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

এই সফরে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনযাত্রা ও তাদের জন্য বাংলাদেশের সরকার ও স্থানীয় জনগণের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।