ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু,

আছিয়াকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ তার মা, গ্রামেই জানাজা অনুষ্ঠিত হবে!

শিশু আছিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত, দ্রুত বিচারের নির্দেশ উপদেষ্টার।

ধর্ষণের শিকার হয়ে কয়েক দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে চলে গেল শিশু আছিয়া। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

শিশুটির মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আছিয়ার মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,

 

“আমার মণিকে বেলেট দিয়ে ক্যামবা কাটিছে রে! আমার মণির পুরো গলায় ঘা হইয়্যা গেছে রে!”

 

পরিবার জানিয়েছে, শিশুটির জানাজা নিজ গ্রামেই অনুষ্ঠিত হবে।

আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস শোক প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত আসামিদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে এই মামলার বিচার শুরু হবে। তিনি বলেন,

 

“এই নির্মম ঘটনা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।”

 

আছিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিন্দার ঝড় ওঠে।

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলম তাদের ফেসবুকে একই স্ট্যাটাস দিয়েছেন—

 

“আমাদের বোন আছিয়া আর নেই। আছিয়ার ধর্ষণের বিচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে ধর্ষকদের শাস্তির এক দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক। বিচারহীনতা, বিচারে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং দীর্ঘসূত্রতা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে যে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পুরো বাংলাদেশ বোন আছিয়ার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, লজ্জিত।”

 

গত ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আছিয়া। পরে তার মা মামলা করেন। মামলার পর শিশুটির বোনের স্বামী, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

এই ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দ্রুত বিচার এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন মহল সরব হয়েছে।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু,

আছিয়াকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ তার মা, গ্রামেই জানাজা অনুষ্ঠিত হবে!

প্রকাশিত: ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

শিশু আছিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত, দ্রুত বিচারের নির্দেশ উপদেষ্টার।

ধর্ষণের শিকার হয়ে কয়েক দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে চলে গেল শিশু আছিয়া। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

শিশুটির মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আছিয়ার মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,

 

“আমার মণিকে বেলেট দিয়ে ক্যামবা কাটিছে রে! আমার মণির পুরো গলায় ঘা হইয়্যা গেছে রে!”

 

পরিবার জানিয়েছে, শিশুটির জানাজা নিজ গ্রামেই অনুষ্ঠিত হবে।

আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস শোক প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত আসামিদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে এই মামলার বিচার শুরু হবে। তিনি বলেন,

 

“এই নির্মম ঘটনা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।”

 

আছিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিন্দার ঝড় ওঠে।

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলম তাদের ফেসবুকে একই স্ট্যাটাস দিয়েছেন—

 

“আমাদের বোন আছিয়া আর নেই। আছিয়ার ধর্ষণের বিচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে ধর্ষকদের শাস্তির এক দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক। বিচারহীনতা, বিচারে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং দীর্ঘসূত্রতা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে যে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পুরো বাংলাদেশ বোন আছিয়ার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, লজ্জিত।”

 

গত ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আছিয়া। পরে তার মা মামলা করেন। মামলার পর শিশুটির বোনের স্বামী, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

এই ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দ্রুত বিচার এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন মহল সরব হয়েছে।