ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার
ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিবৃতিতে

সরকার নারী নিপীড়কদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না: বাংলাদেশ লেখক শিবির

বাংলাদেশ লেখক শিবির সরকারের পক্ষ থেকে নারী নিপীড়কদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে। সংগঠনটি বলেছে, সভা-সমাবেশ ও ওয়াজ-মাহফিলে একশ্রেণির ধর্মীয় বক্তা চরম নারী-অবমাননামূলক বক্তব্য দেওয়ার বিষয়েও জোরালো আইনি পদক্ষেপ থাকা প্রয়োজন।

বুধবার বাঙলাদেশ লেখক শিবিরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুঈনুদ্দীন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল এক বিবৃতিতে এসব বিষয় উল্লেখ করেছেন। বিবৃতিতে তাঁরা দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীদের ওপর চলমান নিপীড়ন, হেনস্তাকরণ ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সমাজের সব স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নারী হেনস্তা, হয়রানি, ধর্ষণ বা ধর্ষণের হুমকির মতো ঘটনা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় শুরু হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘এ মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে, পথচলতি মেয়েদের ওপর আক্রমণ নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছে। তাদের পোশাক নিয়ে সমালোচনা, ব্যঙ্গ, ধর্ষণ; এমনকি রাস্তাঘাটে হেনস্তা করার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

কায়েমি স্বার্থবাদী মহল সমাজের মানুষের বিভিন্ন অংশের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায় বলেও মনে করে বাঙলাদেশ লেখক শিবির। তারা বলছে, যাতে ঐক্যবদ্ধ না থাকা যায়, পরস্পরের ওপর আস্থা না রাখা যায়—এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এ ধরনের চক্রান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মতো পশ্চাৎপদ চিন্তাকাঠামোবিশিষ্ট রাষ্ট্রে পোশাকের কারণে নারীর সমালোচনা, হয়রানি ও যৌন নির্যাতনের পক্ষে কিছু মাত্রায় সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা লক্ষ করা যায়। বাঙলাদেশ লেখক শিবির বলেছে, এই গ্রহণযোগ্যতার ওপর দাঁড়িয়েই কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী ও তাদের পক্ষে কাজ করা লুম্পেনের দল এই কাজে প্রবৃত্ত হয়েছে, যাতে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের অর্জনকে নস্যাৎ করে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণের পথকে কণ্টকাকীর্ণ করা যায়।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিবৃতিতে

সরকার নারী নিপীড়কদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না: বাংলাদেশ লেখক শিবির

প্রকাশিত: ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ লেখক শিবির সরকারের পক্ষ থেকে নারী নিপীড়কদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে। সংগঠনটি বলেছে, সভা-সমাবেশ ও ওয়াজ-মাহফিলে একশ্রেণির ধর্মীয় বক্তা চরম নারী-অবমাননামূলক বক্তব্য দেওয়ার বিষয়েও জোরালো আইনি পদক্ষেপ থাকা প্রয়োজন।

বুধবার বাঙলাদেশ লেখক শিবিরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুঈনুদ্দীন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল এক বিবৃতিতে এসব বিষয় উল্লেখ করেছেন। বিবৃতিতে তাঁরা দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীদের ওপর চলমান নিপীড়ন, হেনস্তাকরণ ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সমাজের সব স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নারী হেনস্তা, হয়রানি, ধর্ষণ বা ধর্ষণের হুমকির মতো ঘটনা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় শুরু হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘এ মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে, পথচলতি মেয়েদের ওপর আক্রমণ নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছে। তাদের পোশাক নিয়ে সমালোচনা, ব্যঙ্গ, ধর্ষণ; এমনকি রাস্তাঘাটে হেনস্তা করার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

কায়েমি স্বার্থবাদী মহল সমাজের মানুষের বিভিন্ন অংশের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায় বলেও মনে করে বাঙলাদেশ লেখক শিবির। তারা বলছে, যাতে ঐক্যবদ্ধ না থাকা যায়, পরস্পরের ওপর আস্থা না রাখা যায়—এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এ ধরনের চক্রান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মতো পশ্চাৎপদ চিন্তাকাঠামোবিশিষ্ট রাষ্ট্রে পোশাকের কারণে নারীর সমালোচনা, হয়রানি ও যৌন নির্যাতনের পক্ষে কিছু মাত্রায় সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা লক্ষ করা যায়। বাঙলাদেশ লেখক শিবির বলেছে, এই গ্রহণযোগ্যতার ওপর দাঁড়িয়েই কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী ও তাদের পক্ষে কাজ করা লুম্পেনের দল এই কাজে প্রবৃত্ত হয়েছে, যাতে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের অর্জনকে নস্যাৎ করে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণের পথকে কণ্টকাকীর্ণ করা যায়।