ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে অর্থ অপচয়ের মহোৎসব বন্ধ হচ্ছে: বেবিচক

বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে অর্থ অপচয় ও লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বর্তমান কর্তৃপক্ষ। তবে রাষ্ট্রের টাকা অপচয়ে জড়িতদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বেবিচকের প্রধান কার্যালয়ে একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। মূল নকশাকে উপেক্ষা করে সেখানে বিমানের আদলে একটি জাদুঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। এ জন্য অতিরিক্ত ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়।

এ ধরনের অনিয়ম শুধু একটি প্রকল্পেই সীমাবদ্ধ নয়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, কক্সবাজার বিমানবন্দরসহ বড়-ছোট অনেক প্রকল্পেই হাজার হাজার কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়মের নথি এখন দুদকের হাতে।

বেবিচক বলছে, ঢাকা কাস্টম হাউজসহ আশপাশে ৭টি মসজিদ থাকায় নতুন করে আলাদা মসজিদ নির্মাণসহ অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। এতে প্রায় তিনশো কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, “অপারেশনাল দিকে যত বেশি কাজ করা যায়, সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে রাজস্ব বাড়বে এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা সম্ভব হবে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, লুটপাটে জড়িত বেবিচক ও বিমান মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা দরকার। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, “সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতি-অনিয়মগুলো খতিয়ে দেখা দরকার। প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।”

এদিকে, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উন্নয়নের নামে সাধারণ মানুষের দেয়া অর্থ কোনোভাবেই লোপাটের সুযোগ দেয়া হবে না।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে অর্থ অপচয়ের মহোৎসব বন্ধ হচ্ছে: বেবিচক

প্রকাশিত: ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে অর্থ অপচয় ও লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বর্তমান কর্তৃপক্ষ। তবে রাষ্ট্রের টাকা অপচয়ে জড়িতদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বেবিচকের প্রধান কার্যালয়ে একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। মূল নকশাকে উপেক্ষা করে সেখানে বিমানের আদলে একটি জাদুঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। এ জন্য অতিরিক্ত ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়।

এ ধরনের অনিয়ম শুধু একটি প্রকল্পেই সীমাবদ্ধ নয়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, কক্সবাজার বিমানবন্দরসহ বড়-ছোট অনেক প্রকল্পেই হাজার হাজার কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়মের নথি এখন দুদকের হাতে।

বেবিচক বলছে, ঢাকা কাস্টম হাউজসহ আশপাশে ৭টি মসজিদ থাকায় নতুন করে আলাদা মসজিদ নির্মাণসহ অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। এতে প্রায় তিনশো কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, “অপারেশনাল দিকে যত বেশি কাজ করা যায়, সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে রাজস্ব বাড়বে এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা সম্ভব হবে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, লুটপাটে জড়িত বেবিচক ও বিমান মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা দরকার। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, “সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতি-অনিয়মগুলো খতিয়ে দেখা দরকার। প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।”

এদিকে, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উন্নয়নের নামে সাধারণ মানুষের দেয়া অর্থ কোনোভাবেই লোপাটের সুযোগ দেয়া হবে না।