ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

আর নতজানু নয়, ভারতের সঙ্গে এখন থেকে কথা হবে চোখে চোখ রেখে: হাসনাত

ভারতের সঙ্গে আর কোনো নতজানু সম্পর্ক নয়, এখন থেকে চোখে চোখ রেখে কথা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

 

 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত গণজমায়েতে তিনি এ মন্তব্য করেন। গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ গণজমায়েতের আয়োজন করে।

 

গণজমায়েতে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ভারত চেয়েছে সংখ্যালঘুদের উসকে দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে। কিন্তু আমরা ভারতের ফাঁদে পা দিইনি। তাদের সঙ্গে আর কোনো সমঝোতার রাজনীতি চলবে না। আর কোনো গুম নয়, আর কোনো খুন নয়। হয় মাতৃভূমি, না হয় মৃত্যু। বিগত বছরগুলোতে গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের যারা ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেফ এক্সিটের (নিরাপদ প্রস্থান) সুযোগ দিয়েছেন তাদের খুঁজে বের করতে হবে। একই সঙ্গে যারা আমাদের পুলিশকে বিরোধীমত দমনে গুম-খুনের কাজে ব্যবহার করেছে, তাদেরকেও সামনে আনতে হবে।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদে নির্বিচারে গুম, খুন ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেক ব্যক্তিকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কারা এই সুযোগ দিয়েছেন তাদের খুঁজে বের করতে হবে। যারা আমাদের পুলিশকে গুম-খুনের কাজে ব্যবহার করেছে এবং ফ্যাসিবাদীকে নিয়ে ছবি বানিয়েছে, তাদের পক্ষে লিখেছে, তাদেরকেও খুঁজে বের করতে হবে।

 

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালকে পুঁজি করে যাদের সম্মান নষ্ট করা হয়েছে, তাদের সম্মান ফিরিয়ে দিতে হবে। বিচার নিশ্চিত না করে আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। ক্ষমতায় যাবার আশায় যেসব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করার কথা বলেছে, তাদের উদ্দেশ্য কখনও সফল হবে না। যারা বিচারের আগেই আওয়ামী লীগকে আবার রাজনীতির মাঠে আনতে চান, তাদের শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে যেতে হবে।

 

গণজমায়েতে ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি, গুম কমিশনের প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

আর নতজানু নয়, ভারতের সঙ্গে এখন থেকে কথা হবে চোখে চোখ রেখে: হাসনাত

প্রকাশিত: ০৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের সঙ্গে আর কোনো নতজানু সম্পর্ক নয়, এখন থেকে চোখে চোখ রেখে কথা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

 

 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত গণজমায়েতে তিনি এ মন্তব্য করেন। গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ গণজমায়েতের আয়োজন করে।

 

গণজমায়েতে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ভারত চেয়েছে সংখ্যালঘুদের উসকে দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে। কিন্তু আমরা ভারতের ফাঁদে পা দিইনি। তাদের সঙ্গে আর কোনো সমঝোতার রাজনীতি চলবে না। আর কোনো গুম নয়, আর কোনো খুন নয়। হয় মাতৃভূমি, না হয় মৃত্যু। বিগত বছরগুলোতে গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের যারা ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেফ এক্সিটের (নিরাপদ প্রস্থান) সুযোগ দিয়েছেন তাদের খুঁজে বের করতে হবে। একই সঙ্গে যারা আমাদের পুলিশকে বিরোধীমত দমনে গুম-খুনের কাজে ব্যবহার করেছে, তাদেরকেও সামনে আনতে হবে।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদে নির্বিচারে গুম, খুন ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেক ব্যক্তিকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কারা এই সুযোগ দিয়েছেন তাদের খুঁজে বের করতে হবে। যারা আমাদের পুলিশকে গুম-খুনের কাজে ব্যবহার করেছে এবং ফ্যাসিবাদীকে নিয়ে ছবি বানিয়েছে, তাদের পক্ষে লিখেছে, তাদেরকেও খুঁজে বের করতে হবে।

 

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালকে পুঁজি করে যাদের সম্মান নষ্ট করা হয়েছে, তাদের সম্মান ফিরিয়ে দিতে হবে। বিচার নিশ্চিত না করে আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। ক্ষমতায় যাবার আশায় যেসব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করার কথা বলেছে, তাদের উদ্দেশ্য কখনও সফল হবে না। যারা বিচারের আগেই আওয়ামী লীগকে আবার রাজনীতির মাঠে আনতে চান, তাদের শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে যেতে হবে।

 

গণজমায়েতে ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি, গুম কমিশনের প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল।