ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

এই দেশে কোনো দালাল ও তোষামোদকারীর আর জায়গা হবে না।- সারজিস আলম

জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, নতুন করে এই বাংলাদেশে ওই পোশাক পরে কিছু পুলিশ সদস্য আবার একটি দলের হয়ে কাজ করছে। দয়া করে ওই পোশাকটা খুলে রেখে চলে যান। আমরা যেহেতু জীবন দিতে শিখে গেছি। আপনাদের স্পষ্ট করে বলি, এই দেশে কোনো দালাল ও তোষামোদকারীর আর জায়গা হবে না। শহিদ ভাইদের নিয়ে এখনো মামলা ব্যবসা হচ্ছে। আমরা আর এগুলো দেখতে চাই না।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর পিটিআই অডিটরিয়ামে শহিদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ‘শহিদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০৫ শহিদের প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে স্বজনহারারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় তাদের সান্ত্বনা দেন সারজিস আলম।

স্বজনহারাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা যতই সান্ত্বনা দিই, আর্থিক সহযোগিতা দিই, একজন সন্তানের অভাব, একজন জীবনসঙ্গীর অভাব, একজন ভাইয়ের অভাব কোনো দিনও পূরণ করতে পারব না। এই যে এতবড় হত্যাকাণ্ড, তার পরও এই বাংলাদেশে ওই খুনিদের নাম আবার উচ্চারিত হয়। তাদের রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে আবার কথা বলা হয়। এরা একেকজন প্যাথলজিক্যাল কিলার। বিগত ১৬ বছরে তারা বাংলাদেশের মানুষকে নানাভাবে খুন করেছে।

 

তিনি আরও বলেন, আপনাদের শক্ত হতে হবে। এই খুনগুলোর বিচার বাংলাদেশে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কথা বলে যাব। কেউ যদি আপনাদের নিয়ে ছেলেখেলা করার চেষ্টা করে, কোনো প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আমরা বাংলাদেশে যুদ্ধ ঘোষণা করব। আপনাদের যেকোনো সহযোগিতার জন্য পুরো বাংলাদেশ আপনাদের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।

 

সারজিস বলেন, কেউ যদি খুনি হাসিনার এজেন্ট হিসাবে কাজ করে, আমরা একসঙ্গে নেমে আবার তাদের প্রতিহত করব। ৫ আগস্টের আগে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম, আমরা এখনো সেই খুনিদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য এবং তাদের সব প্রকার পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার জিয়াউদ্দীন, পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, রাসেল আহমেদ, খান তালাত মাহমুদ রাফি ও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সদস্য তাসনিম জারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক অং সুই প্রু মারমা, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রমুখ।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

এই দেশে কোনো দালাল ও তোষামোদকারীর আর জায়গা হবে না।- সারজিস আলম

প্রকাশিত: ০১:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, নতুন করে এই বাংলাদেশে ওই পোশাক পরে কিছু পুলিশ সদস্য আবার একটি দলের হয়ে কাজ করছে। দয়া করে ওই পোশাকটা খুলে রেখে চলে যান। আমরা যেহেতু জীবন দিতে শিখে গেছি। আপনাদের স্পষ্ট করে বলি, এই দেশে কোনো দালাল ও তোষামোদকারীর আর জায়গা হবে না। শহিদ ভাইদের নিয়ে এখনো মামলা ব্যবসা হচ্ছে। আমরা আর এগুলো দেখতে চাই না।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর পিটিআই অডিটরিয়ামে শহিদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ‘শহিদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০৫ শহিদের প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে স্বজনহারারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় তাদের সান্ত্বনা দেন সারজিস আলম।

স্বজনহারাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা যতই সান্ত্বনা দিই, আর্থিক সহযোগিতা দিই, একজন সন্তানের অভাব, একজন জীবনসঙ্গীর অভাব, একজন ভাইয়ের অভাব কোনো দিনও পূরণ করতে পারব না। এই যে এতবড় হত্যাকাণ্ড, তার পরও এই বাংলাদেশে ওই খুনিদের নাম আবার উচ্চারিত হয়। তাদের রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে আবার কথা বলা হয়। এরা একেকজন প্যাথলজিক্যাল কিলার। বিগত ১৬ বছরে তারা বাংলাদেশের মানুষকে নানাভাবে খুন করেছে।

 

তিনি আরও বলেন, আপনাদের শক্ত হতে হবে। এই খুনগুলোর বিচার বাংলাদেশে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কথা বলে যাব। কেউ যদি আপনাদের নিয়ে ছেলেখেলা করার চেষ্টা করে, কোনো প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আমরা বাংলাদেশে যুদ্ধ ঘোষণা করব। আপনাদের যেকোনো সহযোগিতার জন্য পুরো বাংলাদেশ আপনাদের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।

 

সারজিস বলেন, কেউ যদি খুনি হাসিনার এজেন্ট হিসাবে কাজ করে, আমরা একসঙ্গে নেমে আবার তাদের প্রতিহত করব। ৫ আগস্টের আগে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম, আমরা এখনো সেই খুনিদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য এবং তাদের সব প্রকার পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার জিয়াউদ্দীন, পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, রাসেল আহমেদ, খান তালাত মাহমুদ রাফি ও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সদস্য তাসনিম জারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক অং সুই প্রু মারমা, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রমুখ।