ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

সিন্ডিকেটই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করছে, আলু বিক্রি ৮০ টাকা কেজিতে!

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গতকাল সোমবার পুরনো আলু বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নভেম্বর মাসে এমন চড়া দামের আলু বিক্রি হতে দেখা যায়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত সিন্ডিকেটের কারণেই এবার আলুর দামের এমন অবস্থা।

গতকাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ও বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের মতো চড়া দামে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে, যা কৃষকের থেকে কেনা দামের চেয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ বেশি দামে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মজুতকারিরা কোনো কারণ ছাড়াই আলুর দাম বাড়িয়েছেন। কৃষক পর্যায় থেকে নামমাত্র মূল্যে আলু কিনে মজুত করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি নাজের হোসাইন দেশ রূপান্তরকে বলেন, সরকারের ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে আমরা কিছুটা সন্দিহান। কারণ হচ্ছে, সরকার বলেছিল তারা বিভিন্ন চাঁদা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে, ব্যাংক ইন্টারেস্ট বাড়িয়েছে ও আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়েছে। তবে সাধারণ জনগণ এর কোনো সুবিধা পাননি। উল্টো ব্যবসায়ীরা এর পুরো ফায়দা লুটেছে।

 

বিভিন্ন জেলার  তথ্যানুসারে চলতি বছর আলু উত্তোলন মৌসুমের শুরুতে কৃষক হাত থেকে পাইকারি দামে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হতো ২৫ থেকে ২৮ টাকা। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হতো ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সেই আলুর দাম বাড়তে বাড়তে ১৫ দিন আগেও খুচরা বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়েছে। অথচ গতকাল খুচরা বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়েছে।

 

 

 

জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. সামির হোসাইন সিয়াম বলেন, যারা আলু মজুত করেছেন, তারাই ফোনে ফোনে দাম নির্ধারণ করছেন। তাদের নির্ধারিত দামেই সারা দেশে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে বাজারে বেড়েছে দাম।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কল্যাণ কুমার সরকার জানান, জেলার ছয়টি উপজেলায় সচল ৫৮টি হিমাগারে ৮১ হাজার ৫৯ টন আলু মজুত রয়েছে। এর মধ্যে খাবারের জন্য মজুত রয়েছে ৩৬ হাজার ২১৩ টন আলু। বাকি ৪৪ হাজার ৮৪৬ টন রয়েছে বীজ আলু।

কৃষির অতিরিক্ত উপপরিচালক কল্যাণ কুমার সরকার বলেন, এ আলু নিয়েই অসাধু সিন্ডিকেট কারসাজি চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।
জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

সিন্ডিকেটই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করছে, আলু বিক্রি ৮০ টাকা কেজিতে!

প্রকাশিত: ১২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গতকাল সোমবার পুরনো আলু বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নভেম্বর মাসে এমন চড়া দামের আলু বিক্রি হতে দেখা যায়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত সিন্ডিকেটের কারণেই এবার আলুর দামের এমন অবস্থা।

গতকাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ও বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের মতো চড়া দামে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে, যা কৃষকের থেকে কেনা দামের চেয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ বেশি দামে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মজুতকারিরা কোনো কারণ ছাড়াই আলুর দাম বাড়িয়েছেন। কৃষক পর্যায় থেকে নামমাত্র মূল্যে আলু কিনে মজুত করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি নাজের হোসাইন দেশ রূপান্তরকে বলেন, সরকারের ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে আমরা কিছুটা সন্দিহান। কারণ হচ্ছে, সরকার বলেছিল তারা বিভিন্ন চাঁদা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে, ব্যাংক ইন্টারেস্ট বাড়িয়েছে ও আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়েছে। তবে সাধারণ জনগণ এর কোনো সুবিধা পাননি। উল্টো ব্যবসায়ীরা এর পুরো ফায়দা লুটেছে।

 

বিভিন্ন জেলার  তথ্যানুসারে চলতি বছর আলু উত্তোলন মৌসুমের শুরুতে কৃষক হাত থেকে পাইকারি দামে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হতো ২৫ থেকে ২৮ টাকা। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হতো ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সেই আলুর দাম বাড়তে বাড়তে ১৫ দিন আগেও খুচরা বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়েছে। অথচ গতকাল খুচরা বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়েছে।

 

 

 

জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. সামির হোসাইন সিয়াম বলেন, যারা আলু মজুত করেছেন, তারাই ফোনে ফোনে দাম নির্ধারণ করছেন। তাদের নির্ধারিত দামেই সারা দেশে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে বাজারে বেড়েছে দাম।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কল্যাণ কুমার সরকার জানান, জেলার ছয়টি উপজেলায় সচল ৫৮টি হিমাগারে ৮১ হাজার ৫৯ টন আলু মজুত রয়েছে। এর মধ্যে খাবারের জন্য মজুত রয়েছে ৩৬ হাজার ২১৩ টন আলু। বাকি ৪৪ হাজার ৮৪৬ টন রয়েছে বীজ আলু।

কৃষির অতিরিক্ত উপপরিচালক কল্যাণ কুমার সরকার বলেন, এ আলু নিয়েই অসাধু সিন্ডিকেট কারসাজি চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।