ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: বিবিসি হিন্দিকে নাহিদ

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিবিসি হিন্দিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি। সাক্ষাৎকারে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে মতামত প্রকাশ করেছেন এই উপদেষ্টা।

 

নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা এদেশের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বর্তমান সরকারের। এসব বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার বদলে বাংলাদেশের চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, ভারতের সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এতে দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।

 

এক প্রশ্নের জবাবে গত জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতার বিষয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ জুলাই–আগস্টে যে গণহত্যা ঘটিয়েছে, সেটাকে ভারত কীভাবে দেখে তা এখনও স্পষ্ট করেনি। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে কোনও কথা বলেনি। অথচ যার ওপরে এই ঘটনার দায় বর্তায়, ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে।

 

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তৎপর। সে কারণেই সাম্প্রতিক দুর্গাপূজায় আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও কোনও অঘটন ঘটেনি। তিনি দাবি করেন, আগের সরকারগুলো রাজনৈতিক স্বার্থে সংখ্যালঘুদের অনুভূতিকে ব্যবহার করেছে। ফলে সরকারের প্রতি তাদের বিশ্বাস কমে গেছে। তবে বর্তমান সরকার এ বিশ্বাস পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।

 

সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে নাহিদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোর উত্থান হতে পারে অনেকে আশঙ্কা করছেন। তবে বাংলাদেশের জনগণ চরমপন্থাকে সমর্থন করে না ও তারা গণতান্ত্রিক সরকার চায়। আওয়ামী লীগ এমন একটি প্রচারণা তৈরির চেষ্টা করেছে যে, তাদের ছাড়া চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলো শক্তিশালী হবে। কিন্তু এই প্রচারণায় বিশ্বাস করেন না তিনি।

 

এই উপদেষ্টা বলেন, ভারত যদি আওয়ামী লীগ নয় বরং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহী হয়, তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন নিয়ে তাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়।

 

ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন যৌথ প্রকল্প দুই দেশের জন্যই উপকারী হতে পারে বলে মন্তব্য করে নাহিদ বলেছেন, এই বিষয়গুলো কোনও নির্দিষ্ট দলের স্বার্থসিদ্ধির পন্থা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।

 

তিনি বলেন, সব দেশের সঙ্গেই প্রকল্প অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। এছাড়া, ভারতের সঙ্গে বিনিয়োগ পুনর্বিবেচনার বিষয়টিও পর্যালোচনার আওতায় রয়েছে। তবে, এটি শুধুমাত্র ভারত নয়, সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: বিবিসি হিন্দিকে নাহিদ

প্রকাশিত: ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিবিসি হিন্দিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি। সাক্ষাৎকারে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে মতামত প্রকাশ করেছেন এই উপদেষ্টা।

 

নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা এদেশের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বর্তমান সরকারের। এসব বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার বদলে বাংলাদেশের চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, ভারতের সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এতে দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।

 

এক প্রশ্নের জবাবে গত জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতার বিষয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ জুলাই–আগস্টে যে গণহত্যা ঘটিয়েছে, সেটাকে ভারত কীভাবে দেখে তা এখনও স্পষ্ট করেনি। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে কোনও কথা বলেনি। অথচ যার ওপরে এই ঘটনার দায় বর্তায়, ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে।

 

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তৎপর। সে কারণেই সাম্প্রতিক দুর্গাপূজায় আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও কোনও অঘটন ঘটেনি। তিনি দাবি করেন, আগের সরকারগুলো রাজনৈতিক স্বার্থে সংখ্যালঘুদের অনুভূতিকে ব্যবহার করেছে। ফলে সরকারের প্রতি তাদের বিশ্বাস কমে গেছে। তবে বর্তমান সরকার এ বিশ্বাস পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।

 

সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে নাহিদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোর উত্থান হতে পারে অনেকে আশঙ্কা করছেন। তবে বাংলাদেশের জনগণ চরমপন্থাকে সমর্থন করে না ও তারা গণতান্ত্রিক সরকার চায়। আওয়ামী লীগ এমন একটি প্রচারণা তৈরির চেষ্টা করেছে যে, তাদের ছাড়া চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলো শক্তিশালী হবে। কিন্তু এই প্রচারণায় বিশ্বাস করেন না তিনি।

 

এই উপদেষ্টা বলেন, ভারত যদি আওয়ামী লীগ নয় বরং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহী হয়, তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন নিয়ে তাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়।

 

ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন যৌথ প্রকল্প দুই দেশের জন্যই উপকারী হতে পারে বলে মন্তব্য করে নাহিদ বলেছেন, এই বিষয়গুলো কোনও নির্দিষ্ট দলের স্বার্থসিদ্ধির পন্থা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।

 

তিনি বলেন, সব দেশের সঙ্গেই প্রকল্প অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। এছাড়া, ভারতের সঙ্গে বিনিয়োগ পুনর্বিবেচনার বিষয়টিও পর্যালোচনার আওতায় রয়েছে। তবে, এটি শুধুমাত্র ভারত নয়, সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।