ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

এবার দুই ট্রলারসহ ৬ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেলো আরাকান আর্মি

বঙ্গোপসাগরের নাফ নদ মোহনা টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলকারী দুটি ট্রলারসহ ৬ জনকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ)। বালি-সিমেন্টসহ মালামাল নিয়ে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ।

 

তিনি বলেন, টেকনাফের ঘাট থেকে ইট, বালি ও সিমেন্টবোঝাই দুটি ট্রলার সোমবার বিকালে ৬ মাঝিমাল্লা নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু নাফ নদে জোয়ার-ভাটার কারণে ট্রলার দুটি শাহপরীর দ্বীপে অবস্থান নেয়। এরপর মঙ্গলবার ট্রলার দুটি নাফ নদ হয়ে আবারও সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু বুধবার পেরিয়ে গেলেও তারা সেন্টমার্টিনে পৌঁছায়নি। তারা সবাই সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা। ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে আমার একটি ট্রলার আছে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের অবহিত করা হয়েছে।’

 

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা নুর আলম বলেন, ‘টেকনাফ থেকে দ্বীপে আসার পথে দুটি ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে। সেখানে ট্রলারে ৬ জন মানুষ ছিলেন। এ ঘটনায় তাদের পরিবারের মাঝে আতঙ্ক কাজ করছে।’

 

এ প্রসঙ্গে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মালামালভর্তি দুটি ট্রলারসহ ৬ জনকে মিয়ানমারে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে খোঁজখবর নিচ্ছি।’

 

তবে এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে কেউ কোনও অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ।

 

প্রসঙ্গত, এর আগে নাফ নদ থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশি জেলেকে বিজিবির মাধ্যমে ফেরত পাঠিয়েছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। গত ৭ নভেম্বর বিকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট দিয়ে তাদের দেশে ফেরত আনা হয়। সম্প্রতি আরাকান আর্মি কর্তৃক এসব অপহরণের ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

এবার দুই ট্রলারসহ ৬ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেলো আরাকান আর্মি

প্রকাশিত: ১১:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

বঙ্গোপসাগরের নাফ নদ মোহনা টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলকারী দুটি ট্রলারসহ ৬ জনকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ)। বালি-সিমেন্টসহ মালামাল নিয়ে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ।

 

তিনি বলেন, টেকনাফের ঘাট থেকে ইট, বালি ও সিমেন্টবোঝাই দুটি ট্রলার সোমবার বিকালে ৬ মাঝিমাল্লা নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু নাফ নদে জোয়ার-ভাটার কারণে ট্রলার দুটি শাহপরীর দ্বীপে অবস্থান নেয়। এরপর মঙ্গলবার ট্রলার দুটি নাফ নদ হয়ে আবারও সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু বুধবার পেরিয়ে গেলেও তারা সেন্টমার্টিনে পৌঁছায়নি। তারা সবাই সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা। ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে আমার একটি ট্রলার আছে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের অবহিত করা হয়েছে।’

 

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা নুর আলম বলেন, ‘টেকনাফ থেকে দ্বীপে আসার পথে দুটি ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে। সেখানে ট্রলারে ৬ জন মানুষ ছিলেন। এ ঘটনায় তাদের পরিবারের মাঝে আতঙ্ক কাজ করছে।’

 

এ প্রসঙ্গে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মালামালভর্তি দুটি ট্রলারসহ ৬ জনকে মিয়ানমারে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে খোঁজখবর নিচ্ছি।’

 

তবে এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে কেউ কোনও অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ।

 

প্রসঙ্গত, এর আগে নাফ নদ থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশি জেলেকে বিজিবির মাধ্যমে ফেরত পাঠিয়েছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। গত ৭ নভেম্বর বিকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট দিয়ে তাদের দেশে ফেরত আনা হয়। সম্প্রতি আরাকান আর্মি কর্তৃক এসব অপহরণের ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে