ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

রিজার্ভ নামলো ২০ বিলিয়নের নিচে

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নেমেছে। রবিবার (১০ নভেম্বর) ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার আকুকে পরিশোধ করা হয়। এর ফলে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।

 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আইএমএফের বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুসরণ করে রিজার্ভের বর্তমান পরিমাণ ১৮ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।

 

টানা তিন মাসে রেমিট্যান্সে ৬ বিলিয়ন এবং রফতানিতে ১০ বিলিয়ন ডলার আয় হয়। তাছাড়া আমদানি এলসি খোলার চাপ কম থাকায় ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত ডলার মজুত ছিল। নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি ডলার থাকায় তা কিনে নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বৈদেশিক রিজার্ভ বেড়েছে। আবার বিদেশি ঋণ এলেও তা রিজার্ভে যুক্ত হয়।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসী আয় ও রফতানির ওপর ভর করে গত ৭ নভেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ পৌঁছেছিল ২০ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বরে জুলাই-আগস্টে আকুর বিল বাবদ ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার শোধ করা হয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে।

 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিন ধরনের পরিসংখ্যান সংরক্ষণ করে থাকে। একটি মোট রিজার্ভ, যা বিভিন্ন তহবিল নিয়ে গঠিত। দ্বিতীয়টি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ এবং তৃতীয়ত ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।

 

এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর রাতে জুলাই-আগস্টের আকুর বিল বাবদ ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার বিল সমন্বয় করা হয়েছিল।

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে। তবে করোনা পরবর্তী অর্থনীতিতে বাড়তি চাহিদা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি, বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগ কমে যাওয়া এবং আগের দায় পরিশোধ বেড়েছে।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

রিজার্ভ নামলো ২০ বিলিয়নের নিচে

প্রকাশিত: ১১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নেমেছে। রবিবার (১০ নভেম্বর) ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার আকুকে পরিশোধ করা হয়। এর ফলে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।

 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আইএমএফের বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুসরণ করে রিজার্ভের বর্তমান পরিমাণ ১৮ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।

 

টানা তিন মাসে রেমিট্যান্সে ৬ বিলিয়ন এবং রফতানিতে ১০ বিলিয়ন ডলার আয় হয়। তাছাড়া আমদানি এলসি খোলার চাপ কম থাকায় ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত ডলার মজুত ছিল। নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি ডলার থাকায় তা কিনে নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বৈদেশিক রিজার্ভ বেড়েছে। আবার বিদেশি ঋণ এলেও তা রিজার্ভে যুক্ত হয়।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসী আয় ও রফতানির ওপর ভর করে গত ৭ নভেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ পৌঁছেছিল ২০ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বরে জুলাই-আগস্টে আকুর বিল বাবদ ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার শোধ করা হয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে।

 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিন ধরনের পরিসংখ্যান সংরক্ষণ করে থাকে। একটি মোট রিজার্ভ, যা বিভিন্ন তহবিল নিয়ে গঠিত। দ্বিতীয়টি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ এবং তৃতীয়ত ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।

 

এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর রাতে জুলাই-আগস্টের আকুর বিল বাবদ ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার বিল সমন্বয় করা হয়েছিল।

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে। তবে করোনা পরবর্তী অর্থনীতিতে বাড়তি চাহিদা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি, বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগ কমে যাওয়া এবং আগের দায় পরিশোধ বেড়েছে।