ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

আন্দোলনরত জবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ের সামনে এসেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন তিনি।

এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গণপদযাত্রা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে এসে অবস্থান নেন তারা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘এক দুই তিন চার, ক্যাম্পাস আমার অধিকার’, ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও করো, মন্ত্রণালয় ঘেরাও করো’, ‘বৈষম্য মানব না, মানি না মানব না’, ‘দিতে হবে দিয়ে দাও, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে দাও’, ‘যদি থাকে হায়া লাজ, সেনাবাহিনীকে দাও কাজ’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকে।

 

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো:

১. স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এ দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।

২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হয়েছে।

৩. অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সব চুক্তি বাতিল করতে হবে।

৪. সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণা করা পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।

আন্দোলনের সংগঠক এ কে এম রাকিব বলেন, আমরা আজ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেব। পাশাপাশি তিন কার্যদিবসের সময় দেবো। যদি এরমধ্যে এসব সমস্যার সমাধান না করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

 

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

আন্দোলনরত জবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

প্রকাশিত: ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ের সামনে এসেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন তিনি।

এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গণপদযাত্রা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে এসে অবস্থান নেন তারা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘এক দুই তিন চার, ক্যাম্পাস আমার অধিকার’, ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও করো, মন্ত্রণালয় ঘেরাও করো’, ‘বৈষম্য মানব না, মানি না মানব না’, ‘দিতে হবে দিয়ে দাও, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে দাও’, ‘যদি থাকে হায়া লাজ, সেনাবাহিনীকে দাও কাজ’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকে।

 

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো:

১. স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এ দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।

২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হয়েছে।

৩. অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সব চুক্তি বাতিল করতে হবে।

৪. সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণা করা পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।

আন্দোলনের সংগঠক এ কে এম রাকিব বলেন, আমরা আজ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেব। পাশাপাশি তিন কার্যদিবসের সময় দেবো। যদি এরমধ্যে এসব সমস্যার সমাধান না করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।