ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

১০ তারিখের সমাবেশ এবং আওয়ামী লীগের ফিরে আসার চেষ্টা

এবার দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ নভেম্বর রাজধানীর জিরো পয়েন্টে আসার ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। শনিবার (৯ নভেম্বর) দলটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এ আহ্বান করা হয়েছে।

 

 

উক্ত পোস্টে বলা হয়েছে, “১০ নভেম্বর আসুন- নূর হোসেন চত্তরে জিরো পয়েন্ট, গুলিস্তান, ঢাকা। আমাদের প্রতিবাদ দেশের মানুষের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে, আমাদের প্রতিবাদ মৌলবাদী শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে, আমাদের প্রতিবাদ সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রাকে ব্যহত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে। অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে আপনিও অংশ নিন। ”

 

 

এদিকে, আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচির ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দেশের ভেতর আওয়ামী লীগের সভা, সমাবেশ এমনকি কোনো ধরনের মিছিল করার কোনো সুযোগ নেই।

 

শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে এ কথা জানান তিনি।

 

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘‘বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। বাংলাদেশে প্রতিবাদ করার মতো দলটির কোনো সুযোগ নেই। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ সভা, সমাবেশ ও মিছিলের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে।’’

 

তিনি ছাড়াও এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্য আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে উপদেষ্টা বলেন, গণহত্যাকারী/নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ কর্মসূচি পালন করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

 

এছাড়াও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরাও নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। কেউ কেউ হাস্যরসাত্মকভাবে কেউবা কঠোর ভাষায় করেছেন সমালোচনা।

 

উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর ‘শহীদ নূর হোসেন দিবস’। ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে শহীদ হন নূর হোসেন। দিবসটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূটি পালন করে থাকেন।

 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে এবার প্রথমবারের মতো দিবসটিতে মাঠের কর্মসূটি ঘোষণা দিলো আওয়ামী লীগ।

এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

১০ তারিখের সমাবেশ এবং আওয়ামী লীগের ফিরে আসার চেষ্টা

প্রকাশিত: ১০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

এবার দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ নভেম্বর রাজধানীর জিরো পয়েন্টে আসার ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। শনিবার (৯ নভেম্বর) দলটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এ আহ্বান করা হয়েছে।

 

 

উক্ত পোস্টে বলা হয়েছে, “১০ নভেম্বর আসুন- নূর হোসেন চত্তরে জিরো পয়েন্ট, গুলিস্তান, ঢাকা। আমাদের প্রতিবাদ দেশের মানুষের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে, আমাদের প্রতিবাদ মৌলবাদী শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে, আমাদের প্রতিবাদ সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রাকে ব্যহত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে। অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে আপনিও অংশ নিন। ”

 

 

এদিকে, আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচির ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দেশের ভেতর আওয়ামী লীগের সভা, সমাবেশ এমনকি কোনো ধরনের মিছিল করার কোনো সুযোগ নেই।

 

শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে এ কথা জানান তিনি।

 

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘‘বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। বাংলাদেশে প্রতিবাদ করার মতো দলটির কোনো সুযোগ নেই। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ সভা, সমাবেশ ও মিছিলের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে।’’

 

তিনি ছাড়াও এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্য আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে উপদেষ্টা বলেন, গণহত্যাকারী/নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ কর্মসূচি পালন করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

 

এছাড়াও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরাও নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। কেউ কেউ হাস্যরসাত্মকভাবে কেউবা কঠোর ভাষায় করেছেন সমালোচনা।

 

উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর ‘শহীদ নূর হোসেন দিবস’। ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে শহীদ হন নূর হোসেন। দিবসটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূটি পালন করে থাকেন।

 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে এবার প্রথমবারের মতো দিবসটিতে মাঠের কর্মসূটি ঘোষণা দিলো আওয়ামী লীগ।

এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?