ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে উদ্ভূত সমস্যা মীমাংসিত: রাষ্ট্রপতি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘটনাকে মীমাংসিত উল্লেখ করে এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করা এবং সরকারকে অস্থিতিশীল বা বিব্রত না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

 

সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

এতে বলা হয়েছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন মিডিয়ায় যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার উপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪ এ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের গত ৮ আগস্ট, ২০২৪ এর আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে।

 

 

‘উল্লেখ্য, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৮ আগস্ট, ২০২৪ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত চাওয়ার প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ এই মতামত দিয়েছিলেন। মীমাংসিত এই বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।’

 

 

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।

 

 

সংবিধানের ৫৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তার কাছে শেখ হাসিনার কোনো পদত্যাগপত্র বা সংশ্লিষ্ট কোনো প্রমাণ পৌঁছায়নি।

 

 

উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি এক বেসরকারী পত্রিকার সাথে আলাপকালে উল্লেখ করেন যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো পদত্যাগ পত্রই তার পক্ষে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি বহু চেষ্টা সত্ত্বেও!

 

বলা বাহুল্য, এসব পরস্পর সাংঘর্ষিক মন্তব্যের কারণে জনমনে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। এই বক্তব্যের জের ধরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে তাদের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চেয়ে গত জমায়েতের ডাক দেন।

 

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে উদ্ভূত সমস্যা মীমাংসিত: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘটনাকে মীমাংসিত উল্লেখ করে এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করা এবং সরকারকে অস্থিতিশীল বা বিব্রত না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

 

সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

এতে বলা হয়েছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন মিডিয়ায় যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার উপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪ এ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের গত ৮ আগস্ট, ২০২৪ এর আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে।

 

 

‘উল্লেখ্য, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৮ আগস্ট, ২০২৪ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত চাওয়ার প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ এই মতামত দিয়েছিলেন। মীমাংসিত এই বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।’

 

 

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।

 

 

সংবিধানের ৫৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তার কাছে শেখ হাসিনার কোনো পদত্যাগপত্র বা সংশ্লিষ্ট কোনো প্রমাণ পৌঁছায়নি।

 

 

উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি এক বেসরকারী পত্রিকার সাথে আলাপকালে উল্লেখ করেন যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো পদত্যাগ পত্রই তার পক্ষে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি বহু চেষ্টা সত্ত্বেও!

 

বলা বাহুল্য, এসব পরস্পর সাংঘর্ষিক মন্তব্যের কারণে জনমনে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। এই বক্তব্যের জের ধরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে তাদের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চেয়ে গত জমায়েতের ডাক দেন।