ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

শপথ না পড়ালে নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসার ঘোষণা ইশরাকের

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে সরকার শপথ না পড়ালে তিনি নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসে পড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনে বহিরাগত কোনো প্রশাসক ও সরকারের উপদেষ্টাকে নগর ভবনে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

“আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বাসী। আমরা চাই না, একটা বাজে উদাহরণ সৃষ্টি হোক। কিন্তু এই সরকারকে বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে, আপনারা যদি অবিলম্বে শপথ পড়ানোর ব্যবস্থা না নেন, তাহলে ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে আমি নিজেই শপথ পড়ে আমার চেয়ারে বসব,” নগর ভবনে তার সমর্থকদের তৈরি করা মঞ্চ থেকে আজ এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

তবে আপাতত কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নগর ভবন ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি শিথিলের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে এ কর্মসূচির কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে তিনি ও তার সমর্থকরা নগর ভবনে কর্মসূচি পালন করছেন। এর আগে সমর্থকদের নিয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকাতেও সমাবেশ ও অবস্থানের কর্মসূচি পালন করেছিলেন।

ইশরাক হোসেন বলেছেন, এ বিষয়ে আদালতের রায়ের পরেও অন্তর্বর্তী সরকার ও ‘কতিপয় উপদেষ্টা পক্ষপাতদুষ্ট’ হয়ে টালবাহানা করছে।

“আমাকে শপথ না পড়ানোর মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা তারা অসম্মান করেছে,” বলেছেন তিনি।

তিনি বলেন “বাংলাদেশের মানুষ, আমরা যদি আগামী কাল থেকে তাদের না মানা শুরু করি, তাহলে এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? শপথ যদি তারা না পড়ায়, আমি গিয়ে আমার চেয়ারে বসতে পারি, দুই মিনিটও লাগবে না”।

ইশরাক হোসেন বলেন, “আমাদের দলের পক্ষ থেকে তিনজন উপদেষ্টার নাম বলে আসা হয়েছে অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ চাই, যারা দেশ ও জাতির জন্য হুমকি, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা দেখতে পাই নাই।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কাকরাইলের অবস্থান থেকে তিনি সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

শপথ না পড়ালে নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসার ঘোষণা ইশরাকের

প্রকাশিত: ০২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে সরকার শপথ না পড়ালে তিনি নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসে পড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনে বহিরাগত কোনো প্রশাসক ও সরকারের উপদেষ্টাকে নগর ভবনে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

“আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বাসী। আমরা চাই না, একটা বাজে উদাহরণ সৃষ্টি হোক। কিন্তু এই সরকারকে বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে, আপনারা যদি অবিলম্বে শপথ পড়ানোর ব্যবস্থা না নেন, তাহলে ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে আমি নিজেই শপথ পড়ে আমার চেয়ারে বসব,” নগর ভবনে তার সমর্থকদের তৈরি করা মঞ্চ থেকে আজ এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

তবে আপাতত কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নগর ভবন ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি শিথিলের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে এ কর্মসূচির কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে তিনি ও তার সমর্থকরা নগর ভবনে কর্মসূচি পালন করছেন। এর আগে সমর্থকদের নিয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকাতেও সমাবেশ ও অবস্থানের কর্মসূচি পালন করেছিলেন।

ইশরাক হোসেন বলেছেন, এ বিষয়ে আদালতের রায়ের পরেও অন্তর্বর্তী সরকার ও ‘কতিপয় উপদেষ্টা পক্ষপাতদুষ্ট’ হয়ে টালবাহানা করছে।

“আমাকে শপথ না পড়ানোর মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা তারা অসম্মান করেছে,” বলেছেন তিনি।

তিনি বলেন “বাংলাদেশের মানুষ, আমরা যদি আগামী কাল থেকে তাদের না মানা শুরু করি, তাহলে এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? শপথ যদি তারা না পড়ায়, আমি গিয়ে আমার চেয়ারে বসতে পারি, দুই মিনিটও লাগবে না”।

ইশরাক হোসেন বলেন, “আমাদের দলের পক্ষ থেকে তিনজন উপদেষ্টার নাম বলে আসা হয়েছে অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ চাই, যারা দেশ ও জাতির জন্য হুমকি, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা দেখতে পাই নাই।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কাকরাইলের অবস্থান থেকে তিনি সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন।