ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

সমাবর্তনে আসা সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ৫ম সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে আসা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম মো. মামুন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০০৭- ২০০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং চবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন শাখা ছাত্রশিবিরের দুই সাবেক নেতার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মো. মামুনকে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা জড়িত।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার চবির সর্ববৃহৎ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ২০১১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত স্নাতক পাস করা শিক্ষার্থীরা। ২২ হাজার ৫৬০ সমাবর্তী অংশ নেওয়া এ সমাবর্তনের প্রধান বক্তা ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-লিট ডিগ্রি দেওয়া হয়।

মারধরের শিকার মো. মামুন এই সমাবর্তনে এসেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী অনুষ্ঠান শেষে বিভাগে গাউন জমা দিয়ে মূল সনদ নিতে হবে। মামুনও বিভাগ থেকে মূল সনদ নিতে গিয়েছিলেন। সার্টিফিকেট নিয়ে বের হওয়ার পর তিনি মারধরের শিকার হন।

মারধরের ঘটনা নিশ্চিত করে মামুনের ভাই মো. মাসুম বলেন, ‘আমার ভাই রাজনীতি ছেড়েছে প্রায় আট বছর আগে। সে সমাবর্তনে গিয়েছিল। কেন সমাবর্তনে এসেছে এটাই ভাইয়ের বড় অপরাধ!’

তিনি জানান, সার্টিফিকেট তোলার পর বাসায় আসার পথে মামুন মারধরের শিকার হন। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে তাকে পেয়েছেন। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

জানতে চাইলে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী সমকালকে বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের দুই সাবেক নেতার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল মামুন। ক্যাম্পাসে তাকে দেখে পুরনো কয়েকজন অনুসরণ করে ধরে ফেলে এবং মারধর করে। পরে তারাই আবার তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

সমাবর্তনে আসা সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ৫ম সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে আসা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম মো. মামুন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০০৭- ২০০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং চবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন শাখা ছাত্রশিবিরের দুই সাবেক নেতার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মো. মামুনকে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা জড়িত।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার চবির সর্ববৃহৎ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ২০১১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত স্নাতক পাস করা শিক্ষার্থীরা। ২২ হাজার ৫৬০ সমাবর্তী অংশ নেওয়া এ সমাবর্তনের প্রধান বক্তা ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-লিট ডিগ্রি দেওয়া হয়।

মারধরের শিকার মো. মামুন এই সমাবর্তনে এসেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী অনুষ্ঠান শেষে বিভাগে গাউন জমা দিয়ে মূল সনদ নিতে হবে। মামুনও বিভাগ থেকে মূল সনদ নিতে গিয়েছিলেন। সার্টিফিকেট নিয়ে বের হওয়ার পর তিনি মারধরের শিকার হন।

মারধরের ঘটনা নিশ্চিত করে মামুনের ভাই মো. মাসুম বলেন, ‘আমার ভাই রাজনীতি ছেড়েছে প্রায় আট বছর আগে। সে সমাবর্তনে গিয়েছিল। কেন সমাবর্তনে এসেছে এটাই ভাইয়ের বড় অপরাধ!’

তিনি জানান, সার্টিফিকেট তোলার পর বাসায় আসার পথে মামুন মারধরের শিকার হন। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে তাকে পেয়েছেন। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

জানতে চাইলে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী সমকালকে বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের দুই সাবেক নেতার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল মামুন। ক্যাম্পাসে তাকে দেখে পুরনো কয়েকজন অনুসরণ করে ধরে ফেলে এবং মারধর করে। পরে তারাই আবার তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি।