ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে: নারী অধিকার আন্দোলন

নারী অধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ বাংলাদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী সমাজের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সোমবার (২১ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির সভানেত্রী মমতাজ মান্নান ও সেক্রেটারি নাজমুন্নাহার এ দাবি জানান।

 

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ এখনো সিডও (CEDAW) সনদের ধারা ২ ও ১৬(১)(গ) সংরক্ষিত রেখেছে, যেখানে পারিবারিক বিষয়ে নারী-পুরুষের পূর্ণ সমতার কথা বলা হয়েছে। নারী বিষয়ক কমিশনের সুপারিশে এই সংরক্ষণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

 

কমিশনের সুপারিশে সংবিধানে পরিবর্তন এনে অভিন্ন পারিবারিক আইন, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইন, অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন, ধর্ষণ আইন, নাগরিকত্ব আইন ও সাক্ষী সুরক্ষা আইন সংশোধনের প্রস্তাবও রয়েছে। নারী অধিকার আন্দোলনের মতে, এসব সুপারিশ কোরআনের বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং মুসলিম নারীদের ধর্মীয় পরিচয়ের ওপর ‘সুপরিকল্পিত আঘাত’।

 

বিশেষ করে যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবকে নারী সমাজের জন্য ‘চরম অবমাননাকর’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে সংগঠনটি দাবি করে, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের আগে নিজেদের সংস্কার প্রয়োজন।

 

তাদের মতে, কমিশনে অংশগ্রহণকারী নারীরা মূলধারার প্রতিনিধিত্ব করেন না বরং সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন মতামত তুলে ধরেছেন। তারা দাবি করেছেন, দেশের বৃহত্তর নারী সমাজের প্রতিনিধিত্বে একটি নতুন কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি সংশোধন করা হোক।

 

প্রসঙ্গত, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং তা জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতির ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে: নারী অধিকার আন্দোলন

প্রকাশিত: ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

নারী অধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ বাংলাদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী সমাজের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সোমবার (২১ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির সভানেত্রী মমতাজ মান্নান ও সেক্রেটারি নাজমুন্নাহার এ দাবি জানান।

 

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ এখনো সিডও (CEDAW) সনদের ধারা ২ ও ১৬(১)(গ) সংরক্ষিত রেখেছে, যেখানে পারিবারিক বিষয়ে নারী-পুরুষের পূর্ণ সমতার কথা বলা হয়েছে। নারী বিষয়ক কমিশনের সুপারিশে এই সংরক্ষণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

 

কমিশনের সুপারিশে সংবিধানে পরিবর্তন এনে অভিন্ন পারিবারিক আইন, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইন, অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন, ধর্ষণ আইন, নাগরিকত্ব আইন ও সাক্ষী সুরক্ষা আইন সংশোধনের প্রস্তাবও রয়েছে। নারী অধিকার আন্দোলনের মতে, এসব সুপারিশ কোরআনের বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং মুসলিম নারীদের ধর্মীয় পরিচয়ের ওপর ‘সুপরিকল্পিত আঘাত’।

 

বিশেষ করে যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবকে নারী সমাজের জন্য ‘চরম অবমাননাকর’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে সংগঠনটি দাবি করে, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের আগে নিজেদের সংস্কার প্রয়োজন।

 

তাদের মতে, কমিশনে অংশগ্রহণকারী নারীরা মূলধারার প্রতিনিধিত্ব করেন না বরং সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন মতামত তুলে ধরেছেন। তারা দাবি করেছেন, দেশের বৃহত্তর নারী সমাজের প্রতিনিধিত্বে একটি নতুন কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি সংশোধন করা হোক।

 

প্রসঙ্গত, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং তা জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতির ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে।