ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক মেরামতের কাজে চাঁদা না পেয়ে বাধা: ইউপি সদস্য ও পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরাতলায় সরকারি রাস্তা মেরামতের কাজে চাঁদা না পেয়ে বাধা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া প্রদানের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রাফেজ মীরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ঠিকাদার মো. ডালিম মিয়া সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে গকুল-খিন্নিতলা সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার ডালিম মিয়া। গত ১১ এপ্রিল কাজের স্থানে উপস্থিত হয়ে ইউপি সদস্য রাফেজ মীর চাঁদা না পেয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন এবং শ্রমিকদের গালিগালাজ করেন। পরে রাফেজ মীরের বাবা এরমান মীর ও ভাই রাসেল মীর দেশীয় অস্ত্রসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের হুমকি দেন। স্থানীয়দের প্রতিরোধে তারা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যান, যা পুলিশ পরবর্তীতে উদ্ধার করে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা তাসেম আলী বলেন, “সড়কটি দীর্ঘদিন খারাপ অবস্থায় ছিল। এখন মেরামতের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুশি ছিলাম। কিন্তু কাজ বন্ধ করতে চাঁদা দাবি করায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। আমরা চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”

 

প্রত্যক্ষদর্শী সুমন আলী জানান, “ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউপি সদস্য কাজ বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। গ্রামবাসীর প্রতিরোধে অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যান। এরপর গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে তার বাড়ি ঘেরাও করলেও সমবায় নেতাদের অনুরোধে ফিরে আসেন।”

 

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রাফেজ মীর অবশ্য চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, “আমি শুধু ঠিকাদারকে চা খাওয়ার জন্য ফোন দিয়েছিলাম। কাজ বন্ধ করিনি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।”

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, “ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, প্রমাণ মিললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

এ ঘটনায় উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছমিনা খাতুনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।

 

স্থানীয়দের দাবি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখা হোক।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক মেরামতের কাজে চাঁদা না পেয়ে বাধা: ইউপি সদস্য ও পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরাতলায় সরকারি রাস্তা মেরামতের কাজে চাঁদা না পেয়ে বাধা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া প্রদানের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রাফেজ মীরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ঠিকাদার মো. ডালিম মিয়া সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে গকুল-খিন্নিতলা সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার ডালিম মিয়া। গত ১১ এপ্রিল কাজের স্থানে উপস্থিত হয়ে ইউপি সদস্য রাফেজ মীর চাঁদা না পেয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন এবং শ্রমিকদের গালিগালাজ করেন। পরে রাফেজ মীরের বাবা এরমান মীর ও ভাই রাসেল মীর দেশীয় অস্ত্রসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের হুমকি দেন। স্থানীয়দের প্রতিরোধে তারা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যান, যা পুলিশ পরবর্তীতে উদ্ধার করে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা তাসেম আলী বলেন, “সড়কটি দীর্ঘদিন খারাপ অবস্থায় ছিল। এখন মেরামতের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুশি ছিলাম। কিন্তু কাজ বন্ধ করতে চাঁদা দাবি করায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। আমরা চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”

 

প্রত্যক্ষদর্শী সুমন আলী জানান, “ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউপি সদস্য কাজ বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। গ্রামবাসীর প্রতিরোধে অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যান। এরপর গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে তার বাড়ি ঘেরাও করলেও সমবায় নেতাদের অনুরোধে ফিরে আসেন।”

 

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রাফেজ মীর অবশ্য চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, “আমি শুধু ঠিকাদারকে চা খাওয়ার জন্য ফোন দিয়েছিলাম। কাজ বন্ধ করিনি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।”

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, “ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, প্রমাণ মিললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

এ ঘটনায় উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছমিনা খাতুনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।

 

স্থানীয়দের দাবি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখা হোক।