ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বিকল্প রিংবাঁধ সম্পন্ন, লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ

জেলায় আজ আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে খোলপেটুয়া নদীর ভাঙন কবলিত বেঁড়িবাধের পাশে জিও টিউবের মাধ্যমে বিকল্প রিংবাঁধের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ হয়েছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় জিও টিউবের মাধ্যমে বিকল্প রিংবাঁধের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় আজ শুক্রবার দুপুর থেকে পানি লোকালয়ে প্রবেশ বন্ধ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো-২)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দু’টি টিম এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নিয়োজিত ঠিকাদারের লোকজন বিগত তিনদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে জিও টিউবের মধ্যে বালি ভরে সেখানে বিকল্প রিংবাঁধ বাঁধার চেষ্টা করছিলেন। অবশেষে আজ তারা রিংবাধটি বাঁধতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে শুক্রবার দুপুর থেকে ভাঙন কবলিত বেঁড়িবাধ দিয়ে আর লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে না। আর লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।

পাউবো-২ -এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে জিও টিউব ব্যাগের মধ্যে বালি ভরে বিকল্প রিং বাঁধ দিয়ে প্রাথমিকভাবে লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। আরো কিছু জিও টিউব সেখানে দেয়া হবে। আগামি একসপ্তাহের মধ্যে রিংবাঁধ নির্মাণের সকল কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর ধাপে ধাপে মূল বেঁড়িবাঁধ তৈরীর কাজ শুরু করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ ঈদের দিন সকাল ৯টার দিকে পাউবো বিভাগ-২ এর আওতাধীন ৭/২ পোল্ডারের আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রায় দুইশ’ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ হঠাৎ করেই খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।এতে পানিতে প্লাবিত হয় আনুলিয়া ইউনিয়নের নয়াখালী, বিছট, বল্লবপুর, বাসুদেবপুর, আনুলিয়া, চেচুয়া, কাকবাশিয়া, মীর্জাপুর, চেউটিয়াসহ আশপাশের ১০টি গ্রাম।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বিকল্প রিংবাঁধ সম্পন্ন, লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ

প্রকাশিত: ০৬:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

জেলায় আজ আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে খোলপেটুয়া নদীর ভাঙন কবলিত বেঁড়িবাধের পাশে জিও টিউবের মাধ্যমে বিকল্প রিংবাঁধের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ হয়েছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় জিও টিউবের মাধ্যমে বিকল্প রিংবাঁধের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় আজ শুক্রবার দুপুর থেকে পানি লোকালয়ে প্রবেশ বন্ধ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো-২)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দু’টি টিম এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নিয়োজিত ঠিকাদারের লোকজন বিগত তিনদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে জিও টিউবের মধ্যে বালি ভরে সেখানে বিকল্প রিংবাঁধ বাঁধার চেষ্টা করছিলেন। অবশেষে আজ তারা রিংবাধটি বাঁধতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে শুক্রবার দুপুর থেকে ভাঙন কবলিত বেঁড়িবাধ দিয়ে আর লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে না। আর লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।

পাউবো-২ -এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে জিও টিউব ব্যাগের মধ্যে বালি ভরে বিকল্প রিং বাঁধ দিয়ে প্রাথমিকভাবে লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। আরো কিছু জিও টিউব সেখানে দেয়া হবে। আগামি একসপ্তাহের মধ্যে রিংবাঁধ নির্মাণের সকল কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর ধাপে ধাপে মূল বেঁড়িবাঁধ তৈরীর কাজ শুরু করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ ঈদের দিন সকাল ৯টার দিকে পাউবো বিভাগ-২ এর আওতাধীন ৭/২ পোল্ডারের আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রায় দুইশ’ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ হঠাৎ করেই খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।এতে পানিতে প্লাবিত হয় আনুলিয়া ইউনিয়নের নয়াখালী, বিছট, বল্লবপুর, বাসুদেবপুর, আনুলিয়া, চেচুয়া, কাকবাশিয়া, মীর্জাপুর, চেউটিয়াসহ আশপাশের ১০টি গ্রাম।