ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি এবং দুই নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে আটক করেছে। তবে ঘটনাস্থল টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় হওয়ায় ভুক্তভোগী যাত্রীদের মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার থানা মোড় এলাকা থেকে বাসের চালক বাবলু, সুপারভাইজার মাহাবুব আলম ও হেলপার সুমন ইসলামকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী যাত্রীদের সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহনের বাসটি সোমবার রাত ১০টায় গাবতলী থেকে ছেড়ে যায়। পথে চন্দ্রা এলাকায় বাসটিতে আরও কয়েকজন যাত্রী ওঠে। বাসটি টাঙ্গাইল জেলায় পৌঁছালে নতুন ওঠা যাত্রীসহ আগে থেকে থাকা কয়েকজন মিলে মোট ৮ থেকে ১০ জন বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, গয়না ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। এছাড়া দুই নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ উঠেছে। ডাকাতরা মির্জাপুর এলাকায় নেমে যায়।
মঙ্গলবার সকালে বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা মোড় এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীরা বাসটি আটকে রেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে আটক করে।
বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, যাত্রীরা অভিযোগ করেছে যে বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারের সহায়তায় ডাকাতরা ডাকাতি করেছে। তাই এই তিনজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তবে দুই নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণের মতো ঘটনা যাত্রীরা তাকে জানায়নি বলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ওসি আরও বলেন, যেহেতু ঘটনাস্থল মির্জাপুর থানায়, তাই ভুক্তভোগী যাত্রীদের মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আটককৃত তিনজন বর্তমানে বড়াইগ্রাম থানায় রয়েছে।