ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন প্রস্তাব দিলো ইসরায়েল ৪৪তম থেকে ৪৭তম বিসিএস: পিএসসির নতুন সময়সূচি প্রকাশ শেরপুর সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু “জুলাই-আগস্টে ঢাকায় আওয়ামী লীগের মৃত্যু, দাফন দিল্লিতে” — সালাহউদ্দিন আহমেদ কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ৪ মে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালু তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুর খবর গুজব, তিনি সুস্থ আছেন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার ‘আপন কফি হাউজ’-এর সামনের মারধরের ঘটনায় তরুণীর খোঁজ মেলেনি, মামলা পুলিশের হালখাতার মতো রাষ্ট্রেরও নবায়ন হোক: এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম

আল জাজিরার রিপোর্ট বাংলাদেশিদের ভিসা কমিয়ে ভারতে বিদেশি রোগী অর্ধেকে নেমেছে

বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া কমিয়ে দেওয়ায় ভারতের হাসপাতালগুলোতে বিদেশি রোগীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদেন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিছু দিন স্থগিত রেখে গত কয়েক মাস ধরে সীমিত আকারে ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাস। এতে বিপাকে পড়েছে চিকিৎসার জন্য ভারতীয় হাসপাতালগুলোর শরণাপন্ন হওয়া বাংলাদেশি রোগীরা। এই ভিসা প্রতিবন্ধকতার জন্য ধুঁকছে ভারতের চিকিৎসা খাতও।

আল জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণত প্রতি বছর ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন প্রায় ২০ লাখ বিদেশি রোগী, যার ৬০ শতাংশই বাংলাদেশি। গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমে গেছে। অর্থাৎ, এসব হাসপাতালে বিদেশি রোগীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া বিদেশি রোগীরা দেশটির অর্থনীতিতেও বড় অবদান রাখেন। আল জাজিরার মতে, ২০২৩ সালে এই ‘মেডিকেল ট্যুরিজম’ খাত থেকে প্রায় ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার (৭৭ হাজার ১৮৯ কোটি রুপি) যোগ হয় ভারতের অর্থনীতিতে।

বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, শেখ হাসিনার পতনের আগে বাংলাদেশে ভারতের পাঁচটি ভিসা কেন্দ্রে দৈনিক অনলাইন ভিসার স্লট ছিল সাত হাজার। এখন এই সংখ্যা ৫০০-তে নামিয়ে আনা হয়েছে।

বাংলাদেশি রোগী যাওয়া কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কলকাতার হাসপাতালগুলো।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট কলকাতার মাল্টি-স্পেশালটি পিয়ারলেস হাসপাতালের বহির্বিভাগে আগে দিনে ১৫০ জন বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসা নিতেন। এই সংখ্যা কমে এখন ৩০-এর নিচে নেমে এসেছে।

ভারতের স্বাস্থ্যসেবা অ্যাসোসিয়েশনের আলেকজান্ডার থমাস আল জাজিরাকে জানান, বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হেলথ, চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো এবং ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজও (সিএমসি) এই ভিসা প্রতিবন্ধকতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

জনপ্রিয়

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন প্রস্তাব দিলো ইসরায়েল

আল জাজিরার রিপোর্ট বাংলাদেশিদের ভিসা কমিয়ে ভারতে বিদেশি রোগী অর্ধেকে নেমেছে

প্রকাশিত: ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া কমিয়ে দেওয়ায় ভারতের হাসপাতালগুলোতে বিদেশি রোগীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদেন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিছু দিন স্থগিত রেখে গত কয়েক মাস ধরে সীমিত আকারে ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাস। এতে বিপাকে পড়েছে চিকিৎসার জন্য ভারতীয় হাসপাতালগুলোর শরণাপন্ন হওয়া বাংলাদেশি রোগীরা। এই ভিসা প্রতিবন্ধকতার জন্য ধুঁকছে ভারতের চিকিৎসা খাতও।

আল জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণত প্রতি বছর ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন প্রায় ২০ লাখ বিদেশি রোগী, যার ৬০ শতাংশই বাংলাদেশি। গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমে গেছে। অর্থাৎ, এসব হাসপাতালে বিদেশি রোগীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া বিদেশি রোগীরা দেশটির অর্থনীতিতেও বড় অবদান রাখেন। আল জাজিরার মতে, ২০২৩ সালে এই ‘মেডিকেল ট্যুরিজম’ খাত থেকে প্রায় ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার (৭৭ হাজার ১৮৯ কোটি রুপি) যোগ হয় ভারতের অর্থনীতিতে।

বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, শেখ হাসিনার পতনের আগে বাংলাদেশে ভারতের পাঁচটি ভিসা কেন্দ্রে দৈনিক অনলাইন ভিসার স্লট ছিল সাত হাজার। এখন এই সংখ্যা ৫০০-তে নামিয়ে আনা হয়েছে।

বাংলাদেশি রোগী যাওয়া কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কলকাতার হাসপাতালগুলো।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট কলকাতার মাল্টি-স্পেশালটি পিয়ারলেস হাসপাতালের বহির্বিভাগে আগে দিনে ১৫০ জন বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসা নিতেন। এই সংখ্যা কমে এখন ৩০-এর নিচে নেমে এসেছে।

ভারতের স্বাস্থ্যসেবা অ্যাসোসিয়েশনের আলেকজান্ডার থমাস আল জাজিরাকে জানান, বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হেলথ, চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো এবং ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজও (সিএমসি) এই ভিসা প্রতিবন্ধকতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।