ঢাকা , শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক পুনরায় চালু, বাণিজ্য আদালতের রায় স্থগিত করলো মার্কিন আপিল আদালত বাংলাদেশকে ১.০৬৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে জাপান, টোকিওতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সারাদেশে সেনাবাহিনীর অভিযান: এক সপ্তাহে ৩৯০ অপরাধী আটক, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র-মাদক গভীর নিম্নচাপ উপকূল অতিক্রম, রাজধানীতে অতিভারি বৃষ্টির আশঙ্কা মে মাসের ভ্যাট রিটার্ন জমার সময় বাড়াল এনবিআর বিসিবি সভাপতির পদ হারালেন ফারুক আহমেদ বাজুসের কর্মসূচি স্থগিত, শুক্রবার থেকে খুলছে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামে যমজ জোড়া শিশুর দ্রুততম বিভাজন সার্জারি সফল আইসিএক্স লাইসেন্স বাতিলে আপত্তি, রাজস্ব ক্ষতির শঙ্কা জানাল অপারেটররা ঢাকা উত্তরে জলাবদ্ধতা নিরসনে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে ডিএনসিসি

সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাটে বৃষ্টি, বেড়েছে শীতের প্রকোপ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে শীতের মধ্যেও উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলায় ১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টির ফলে শীতের প্রকোপও বেড়েছে জেলাজুড়ে। বৃষ্টির সঙ্গে শীত বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর ও বোরো চাষিরা।

 

বাগেরহাট শহরের রিকশাচালক লিপন খান বলেন, সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, তবুও পেটের দায়ে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। বৃষ্টির কারণে ঠান্ডা বেশি, তাই রাস্তায় যাত্রীর সংখ্যাও কম। সকাল থেকে যা ইনকাম করেছি, তা দিয়ে বাজার খরচ হবে না।

 

বাগেরহাট প্রধান বাজারের সবজি বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ রয়েছে। বৃষ্টির কারণে ক্রেতার সংখ্যা কম, তাই বেচাকেনা একদমই হচ্ছে না।

 

বোরো চাষি মাসুদুর রহমান বলেন, বৃষ্টিতে ধানের বীজতলার কিছুটা উপকার হচ্ছে। তবে ধান রোপনের জমি প্রস্তুত কাজ ব্যহত হচ্ছে। শীতে শ্রমিকরা মাঠে নামতে পারছে না। এছাড়া অনেক এলাকায় মাঠে আমন ধান রয়েছে, তাদের সমস্যা হবে।

 

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদার বলেন, বেশিরভাগ কৃষকই তাদের ধান ঘরে তুলে নিয়েছে। এখনও মাঠে অল্প কিছু কৃষকের ধান রয়েছে। সকাল থেকে যে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে বড় ধরনের ক্ষতির কোনও আশঙ্কা নেই। সামনে বোরো ধানের মৌসুম। কৃষকরা বীজতলা প্রস্তুত করছেন। বৃষ্টি হলে বোরোর বীজতলা ভালো হবে। শীতকালীন সবজি চাষেও এর কোনও প্রভাব পড়বে না।

 

মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাগেরহাটে ১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। রোদ না ওঠায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জনপ্রিয়

ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক পুনরায় চালু, বাণিজ্য আদালতের রায় স্থগিত করলো মার্কিন আপিল আদালত

সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাটে বৃষ্টি, বেড়েছে শীতের প্রকোপ

প্রকাশিত: ১০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে শীতের মধ্যেও উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলায় ১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টির ফলে শীতের প্রকোপও বেড়েছে জেলাজুড়ে। বৃষ্টির সঙ্গে শীত বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর ও বোরো চাষিরা।

 

বাগেরহাট শহরের রিকশাচালক লিপন খান বলেন, সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, তবুও পেটের দায়ে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। বৃষ্টির কারণে ঠান্ডা বেশি, তাই রাস্তায় যাত্রীর সংখ্যাও কম। সকাল থেকে যা ইনকাম করেছি, তা দিয়ে বাজার খরচ হবে না।

 

বাগেরহাট প্রধান বাজারের সবজি বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ রয়েছে। বৃষ্টির কারণে ক্রেতার সংখ্যা কম, তাই বেচাকেনা একদমই হচ্ছে না।

 

বোরো চাষি মাসুদুর রহমান বলেন, বৃষ্টিতে ধানের বীজতলার কিছুটা উপকার হচ্ছে। তবে ধান রোপনের জমি প্রস্তুত কাজ ব্যহত হচ্ছে। শীতে শ্রমিকরা মাঠে নামতে পারছে না। এছাড়া অনেক এলাকায় মাঠে আমন ধান রয়েছে, তাদের সমস্যা হবে।

 

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদার বলেন, বেশিরভাগ কৃষকই তাদের ধান ঘরে তুলে নিয়েছে। এখনও মাঠে অল্প কিছু কৃষকের ধান রয়েছে। সকাল থেকে যে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে বড় ধরনের ক্ষতির কোনও আশঙ্কা নেই। সামনে বোরো ধানের মৌসুম। কৃষকরা বীজতলা প্রস্তুত করছেন। বৃষ্টি হলে বোরোর বীজতলা ভালো হবে। শীতকালীন সবজি চাষেও এর কোনও প্রভাব পড়বে না।

 

মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাগেরহাটে ১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। রোদ না ওঠায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।