ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জুলাই-আগস্ট স্মৃতি জাদুঘর করবে সরকার: ফারুকী এসএসসি পরবর্তী সময়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থীর দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স শুরু বিশ্ব নাগরিক হিসেবে নতুন প্রজন্ম গড়তে শিক্ষা পরিবেশ উন্নয়নের তাগিদ সোমবার থেকে দ্বিতীয় ধাপের রাজনৈতিক সংলাপ শুরু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল রোববার দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে উন্নতি হয়েছে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত মে মাসে নারী-শিশু নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উদ্বেগজনক: এমএসএফ প্রতিবেদন জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় সিলেটে সিসিকের কন্ট্রোল রুম চালু কুষ্টিয়ায় নারী ও শিশুসহ ৯ বাংলাদেশিকে পুশইন করলো বিএসএফ রাতে লিচু খাওয়া: উপকারিতা ও সতর্কতা

গ্যাস বিল বকেয়া ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর পাওনা ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর পাওনা ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর (আইপিপি) কাছে বকেয়া বিল রয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকা। আর সরকারি সার কারখানাগুলোর কাছে পাওনা রয়েছে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন শিল্প-কারখানা ও আবাসিক গ্রাহকের কাছে বকেয়া বিলের পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা।
জ্বালানি খাতের প্রতিবেদকদের সঙ্গে গতকাল এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। ‘গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার রোধকল্পে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এ সভায় একটি নিবন্ধ তুলে ধরে পেট্রোবাংলা।

এতে বলা হয়, গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। গত বছর ১৮৬টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ২ লাখ ১৯ হাজার ২৬৫টি চুলার সংযোগ ও সাতটি শিল্প গ্রাহকের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে দিনে প্রায় ২ কোটি টাকার গ্যাস সাশ্রয় করা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৯৫টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সোয়া লাখ চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। শিল্প খাতে ৭৪টি গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে দিনে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে।

দেশে গ্যাস বিতরণ কোম্পানি রয়েছে ছয়টি। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি। মতবিনিময় সভায় সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ গত দেড় মাসের অভিযানের চিত্র তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়, কেরানীগঞ্জে গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ২৯৪টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়, এর মধ্যে ৭৮টি শিল্প সংযোগ। এতে দিনে ২০ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। তবে এবারের অভিযানে শুধু কেরানীগঞ্জে ৬৭টি অবৈধ শিল্প সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

সভায় গ্যাসের বকেয়া বিল আদায়ের বিষয়ে বলা হয়, সরকারি সংস্থার কাছ থেকে বকেয়া বিল আদায়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করছে পেট্রোবাংলা। শিল্প খাতে বর্তমানে ৩৫৪টি নতুন সংযোগের আবেদন জমা আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পরামর্শে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আবাসিকে নতুন করে সংযোগ চালুর বিষয়ে সরকার এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বলেও সভায় জানানো হয়।

সভায় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, ‘শিল্প খাতে গ্যাসের দাম বেশি, পাওনা আদায়ের হারও বেশি। আবাসিক, শিল্প, বাণিজ্যিক খাতের বিল দিয়েই সব খরচ চালানো হচ্ছে।’

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার পরিচালক একেএম মিজানুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান খান, মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

জনপ্রিয়

জুলাই-আগস্ট স্মৃতি জাদুঘর করবে সরকার: ফারুকী

গ্যাস বিল বকেয়া ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

প্রকাশিত: ১২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর পাওনা ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর পাওনা ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর (আইপিপি) কাছে বকেয়া বিল রয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকা। আর সরকারি সার কারখানাগুলোর কাছে পাওনা রয়েছে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন শিল্প-কারখানা ও আবাসিক গ্রাহকের কাছে বকেয়া বিলের পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা।
জ্বালানি খাতের প্রতিবেদকদের সঙ্গে গতকাল এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। ‘গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার রোধকল্পে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এ সভায় একটি নিবন্ধ তুলে ধরে পেট্রোবাংলা।

এতে বলা হয়, গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। গত বছর ১৮৬টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ২ লাখ ১৯ হাজার ২৬৫টি চুলার সংযোগ ও সাতটি শিল্প গ্রাহকের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে দিনে প্রায় ২ কোটি টাকার গ্যাস সাশ্রয় করা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৯৫টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সোয়া লাখ চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। শিল্প খাতে ৭৪টি গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে দিনে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে।

দেশে গ্যাস বিতরণ কোম্পানি রয়েছে ছয়টি। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি। মতবিনিময় সভায় সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ গত দেড় মাসের অভিযানের চিত্র তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়, কেরানীগঞ্জে গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ২৯৪টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়, এর মধ্যে ৭৮টি শিল্প সংযোগ। এতে দিনে ২০ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। তবে এবারের অভিযানে শুধু কেরানীগঞ্জে ৬৭টি অবৈধ শিল্প সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

সভায় গ্যাসের বকেয়া বিল আদায়ের বিষয়ে বলা হয়, সরকারি সংস্থার কাছ থেকে বকেয়া বিল আদায়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করছে পেট্রোবাংলা। শিল্প খাতে বর্তমানে ৩৫৪টি নতুন সংযোগের আবেদন জমা আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পরামর্শে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আবাসিকে নতুন করে সংযোগ চালুর বিষয়ে সরকার এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বলেও সভায় জানানো হয়।

সভায় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, ‘শিল্প খাতে গ্যাসের দাম বেশি, পাওনা আদায়ের হারও বেশি। আবাসিক, শিল্প, বাণিজ্যিক খাতের বিল দিয়েই সব খরচ চালানো হচ্ছে।’

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার পরিচালক একেএম মিজানুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান খান, মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।