চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে চার উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। মুরাদপুর, চকবাজার ও কাতালগঞ্জে অতীতে বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়লেও এবার একই অবস্থায় পানি জমেনি।
জানুয়ারিতে ৮,৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না দেখে এই চার উপদেষ্টাকে বিশেষ দায়িত্ব দেন ড. ইউনূস। পরিদর্শনের পর তারা ৮টি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। বর্ষার আগেই জলাবদ্ধতা সহনীয় করতে ১৭টি খাল খননসহ সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া হয়।
২০২৫ সালের ৩০ মে ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেও বহদ্দারহাট, মুরাদপুর ও চকবাজারে পানি জমেনি। প্রহরী ও দোকানিরা জানাচ্ছেন, নালা খাল সংস্কার ও নালার ওপর অবৈধ স্থাপনা অপসারণের কারণেই এই পরিবর্তন এসেছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, খাল-নালার সংযোগ ও মাটি অপসারণের মাধ্যমে পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে কাজ করায় এবার নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে স্বস্তি পাচ্ছে।