ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা, ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন প্রস্তাব দিলো ইসরায়েল ৪৪তম থেকে ৪৭তম বিসিএস: পিএসসির নতুন সময়সূচি প্রকাশ শেরপুর সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু “জুলাই-আগস্টে ঢাকায় আওয়ামী লীগের মৃত্যু, দাফন দিল্লিতে” — সালাহউদ্দিন আহমেদ কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ৪ মে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালু তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুর খবর গুজব, তিনি সুস্থ আছেন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

চবির ৫ম সমাবর্তনে অংশ নেবে ২২৬০০ সাবেক শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ মে। এতে অংশ নিতে আবেদন করেছে ২২ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান চবির ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সমাবর্তন কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী।

 

সংবাদ সম্মেলনে প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, চবির ৫ম সমাবর্তনে বর্তমান সরকারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি–লিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে। সমাবর্তনে প্রধান বক্তা হিসেবেও উপস্থিত থাকবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সভাপতিত্ব করবেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্‌ইয়া আখতার। তিনি জানান, সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীদের পরিবারে সদস্যদের জন্য প্যান্ডেলে আসনের ব্যবস্থা থাকবে না। তবে অনুষদ প্রাঙ্গণে গেস্টদের জন্য সাময়িক বসার ব্যবস্থা করা হবে। যাতে তারা বসে বিশ্রাম নিতে পারেন। তিনি আরও জানান, সমাবর্তনের তারিখ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকের মাঝে নানা ধরনের বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা গেছে। আসলে এই তারিখটি আমরা ঠিক করিনি, এটা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ঠিক করা হয়েছে। আর গাউনের সঙ্গে আমরা এবার টুপি দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বের সমাবর্তনে দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে এখন পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে।

 

এর আগে সমাবর্তনে আবেদনের সময় ছিল ১৫ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। তবে প্রথমদিকে মূল সনদ উত্তোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমাবর্তনে অংশগ্রহণের সুযোগ না রাখা হলেও পরে সমালোচনার মুখে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মূলসনদ উত্তোলনকারী শিক্ষার্থীদেরকে সমাবর্তনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে নতুন করে আবেদনের সময় সীমা নির্ধারণ করা হয় ৩ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২২ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছে সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য। এবার সমাবর্তনে অংশ নেবে ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত যেসব শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন তারা। সমাবর্তনটি হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় সমাবর্তন। এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৪ সালে প্রথম সমাবর্তন, ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়, ২০০৮ সালে তৃতীয় এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

জনপ্রিয়

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা

চবির ৫ম সমাবর্তনে অংশ নেবে ২২৬০০ সাবেক শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ মে। এতে অংশ নিতে আবেদন করেছে ২২ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান চবির ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সমাবর্তন কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী।

 

সংবাদ সম্মেলনে প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, চবির ৫ম সমাবর্তনে বর্তমান সরকারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি–লিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে। সমাবর্তনে প্রধান বক্তা হিসেবেও উপস্থিত থাকবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সভাপতিত্ব করবেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্‌ইয়া আখতার। তিনি জানান, সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীদের পরিবারে সদস্যদের জন্য প্যান্ডেলে আসনের ব্যবস্থা থাকবে না। তবে অনুষদ প্রাঙ্গণে গেস্টদের জন্য সাময়িক বসার ব্যবস্থা করা হবে। যাতে তারা বসে বিশ্রাম নিতে পারেন। তিনি আরও জানান, সমাবর্তনের তারিখ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকের মাঝে নানা ধরনের বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা গেছে। আসলে এই তারিখটি আমরা ঠিক করিনি, এটা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ঠিক করা হয়েছে। আর গাউনের সঙ্গে আমরা এবার টুপি দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বের সমাবর্তনে দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে এখন পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে।

 

এর আগে সমাবর্তনে আবেদনের সময় ছিল ১৫ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। তবে প্রথমদিকে মূল সনদ উত্তোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমাবর্তনে অংশগ্রহণের সুযোগ না রাখা হলেও পরে সমালোচনার মুখে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মূলসনদ উত্তোলনকারী শিক্ষার্থীদেরকে সমাবর্তনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে নতুন করে আবেদনের সময় সীমা নির্ধারণ করা হয় ৩ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২২ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছে সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য। এবার সমাবর্তনে অংশ নেবে ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত যেসব শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন তারা। সমাবর্তনটি হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় সমাবর্তন। এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৪ সালে প্রথম সমাবর্তন, ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়, ২০০৮ সালে তৃতীয় এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।