সুস্থ জীবনযাপন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) কর্মচারীদের জন্য আয়োজিত “নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ” কর্মশালায় বক্তারা বলেন, উৎপাদন থেকে শুরু করে পরিবেশন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে বিজ্ঞানসম্মত ও সচেতনভাবে খাবার প্রস্তুত ও গ্রহণ করতে হবে।
প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক মো. কাওছারুল ইসলাম সিকদার বলেন, “আমাদের বাসাবাড়ি থেকে হোটেল-রেস্তোরাঁ পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুতের পর্যাপ্ত জ্ঞান বা প্রশিক্ষিত জনবল নেই। রান্নাঘরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং খাবার সংরক্ষণের ভুল অভ্যাস মানুষের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হতে পারে।” তিনি আলাদা করে মাছ-মাংস ও সবজি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি আরও বলেন, “অনিরাপদ খাবার আসলে কোনো খাবার নয়—বরং তা স্বাস্থ্যহানির কারণ। তাই খাদ্য কেনার সময় ভালো মানের ব্র্যান্ড বা নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহ করা উচিত।”
ডিআরইউ সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার বলেন, “ভেজালের ভিড়ে আসল খাবার চেনাই এখন কষ্টকর। এজন্য নিজের সচেতনতার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে নিরাপদ খাবার সরবরাহে আন্তরিক হওয়া।”
সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, “সাংবাদিকদের নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং তা নিশ্চিত করা জরুরি। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সদস্যদের জন্য দিকনির্দেশনা দিতে পারে, যা বাস্তব জীবনে কাজে লাগবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং কর্মকর্তা ইশফাক ওয়াহেদ বিন রহিম, জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল হাসনাত এবং ডিআরইউর তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এমদাদুল হক খান, কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা এবং কার্যনির্বাহী সদস্য আমিনুল হক ভুঁইয়া।
সবশেষে আলোচকরা বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ জনগণের সম্মিলিত সচেতনতা ও সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।