ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জুলাই-আগস্ট স্মৃতি জাদুঘর করবে সরকার: ফারুকী এসএসসি পরবর্তী সময়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থীর দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স শুরু বিশ্ব নাগরিক হিসেবে নতুন প্রজন্ম গড়তে শিক্ষা পরিবেশ উন্নয়নের তাগিদ সোমবার থেকে দ্বিতীয় ধাপের রাজনৈতিক সংলাপ শুরু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল রোববার দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে উন্নতি হয়েছে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত মে মাসে নারী-শিশু নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উদ্বেগজনক: এমএসএফ প্রতিবেদন জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় সিলেটে সিসিকের কন্ট্রোল রুম চালু কুষ্টিয়ায় নারী ও শিশুসহ ৯ বাংলাদেশিকে পুশইন করলো বিএসএফ রাতে লিচু খাওয়া: উপকারিতা ও সতর্কতা

ভারত মহাসাগরে ভাসমান শতাধিক রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করলো লঙ্কান নৌবাহিনী

শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী ভারত মহাসাগরে ভাসমান একটি মাছ ধরার ট্রলারের ওপর থেকে ১০২ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ২৫ জন শিশু রয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দেশটির নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

 

নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, শরণার্থীদের শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিঙ্কোমালি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের তীরে নামার আগে মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে।

 

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গা সম্প্রদায় মিয়ানমারে চরম নির্যাতনের শিকার। প্রতিবছর হাজার হাজার রোহিঙ্গা দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রার ঝুঁকি নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার দিকে পাড়ি জমায়।

 

বৃহস্পতিবার ভোরে শ্রীলঙ্কার উত্তরের মুল্লৈভাইকাল উপকূলে স্থানীয় জেলেরা ভাসমান ট্রলারটি দেখতে পান। নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভাষাগত সমস্যার কারণে শরণার্থীদের গন্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তারা পথ হারিয়েছে।

 

শ্রীলঙ্কায় রোহিঙ্গাদের নৌকা ভেসে আসা খুব একটা সাধারণ ঘটনা নয়। তবে এটি একেবারে বিরল কিছুও নয়। দেশটি মিয়ানমার থেকে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

 

গত অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে প্রায় ১০০ রোহিঙ্গা একটি নৌকায় এসে পৌঁছালে সেখানে ছয়জনের মৃত্যু হয়।

 

এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী আরও ১০০ জনের বেশি রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করেছিল।

 

২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের সময় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ওই অভিযানকে কেন্দ্র করে বর্তমানে জাতিসংঘের একটি আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার মামলাও চলছে।

 

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের ফলে লাখ লাখ মানুষ দেশ ছেড়েছে। রোহিঙ্গা সম্প্রদায় এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নাগরিকত্ব স্বীকৃতি না পাওয়া সত্ত্বেও তাদের জোরপূর্বক সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

জনপ্রিয়

জুলাই-আগস্ট স্মৃতি জাদুঘর করবে সরকার: ফারুকী

ভারত মহাসাগরে ভাসমান শতাধিক রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করলো লঙ্কান নৌবাহিনী

প্রকাশিত: ০৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী ভারত মহাসাগরে ভাসমান একটি মাছ ধরার ট্রলারের ওপর থেকে ১০২ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ২৫ জন শিশু রয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দেশটির নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

 

নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, শরণার্থীদের শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিঙ্কোমালি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের তীরে নামার আগে মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে।

 

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গা সম্প্রদায় মিয়ানমারে চরম নির্যাতনের শিকার। প্রতিবছর হাজার হাজার রোহিঙ্গা দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রার ঝুঁকি নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার দিকে পাড়ি জমায়।

 

বৃহস্পতিবার ভোরে শ্রীলঙ্কার উত্তরের মুল্লৈভাইকাল উপকূলে স্থানীয় জেলেরা ভাসমান ট্রলারটি দেখতে পান। নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভাষাগত সমস্যার কারণে শরণার্থীদের গন্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তারা পথ হারিয়েছে।

 

শ্রীলঙ্কায় রোহিঙ্গাদের নৌকা ভেসে আসা খুব একটা সাধারণ ঘটনা নয়। তবে এটি একেবারে বিরল কিছুও নয়। দেশটি মিয়ানমার থেকে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

 

গত অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে প্রায় ১০০ রোহিঙ্গা একটি নৌকায় এসে পৌঁছালে সেখানে ছয়জনের মৃত্যু হয়।

 

এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী আরও ১০০ জনের বেশি রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করেছিল।

 

২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের সময় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ওই অভিযানকে কেন্দ্র করে বর্তমানে জাতিসংঘের একটি আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার মামলাও চলছে।

 

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের ফলে লাখ লাখ মানুষ দেশ ছেড়েছে। রোহিঙ্গা সম্প্রদায় এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নাগরিকত্ব স্বীকৃতি না পাওয়া সত্ত্বেও তাদের জোরপূর্বক সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।