ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পরই বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনায় এলেন নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ইতালিয়ান এই কোচ তার প্রথম স্কোয়াডে জায়গা দেননি দলটির পোস্টারবয় নেইমারকে। তবে জাতীয় দলে ফিরিয়েছেন অভিজ্ঞ কাসেমিরো, রিশার্লিসন ও অ্যান্টনিকে।
চোট থেকে ফিরলেও নেইমারের বাদ পড়া
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে নেইমারের বাম হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। দীর্ঘ পুনর্বাসন শেষে তিনি সান্তোসের হয়ে মাঠে ফিরেছেন এবং দুটি ম্যাচও খেলেছেন। তবে এই অবস্থাতেও আনচেলত্তির দলে জায়গা হয়নি তার। নেইমারের বাদ পড়া ব্রাজিলীয় ফুটবলপাড়ায় চমক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ফিরলেন কাসেমিরো-রিশার্লিসন
চোট ও ছন্দ হারানোর কারণে দীর্ঘদিন ব্রাজিল দলে অনুপস্থিত ছিলেন কাসেমিরো ও রিশার্লিসন। এবার নতুন কোচের অধীনে তাদের জন্য আবার সুযোগ তৈরি হয়েছে। জাতীয় দলে এটি কাসেমিরোর প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত, যিনি এতদিন দলের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন। টটেনহ্যামের রিশার্লিসনও এবার কোচের আস্থায় ফিরেছেন।
অ্যান্টনি দারুণ ছন্দে, জায়গা পেলেন স্কোয়াডে
বর্তমানে রিয়াল বেটিসে ধারে খেলছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের উইঙ্গার অ্যান্টনি। ইউরোপা কনফারেন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছে তার দল, এবং সেই পথে অ্যান্টনির পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। তার সেই ছন্দই আনচেলত্তির নজরে আসে। যদিও তাকে মূল একাদশে জায়গা পেতে লড়তে হবে রাফিনিয়া ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সঙ্গে।
রাফিনিয়া ও ভিনিসিয়ুস দুর্দান্ত ফর্মে
বার্সেলোনার হয়ে ৫৪ ম্যাচে ৩৪ গোল ও ২২ অ্যাসিস্ট করে দারুণ ফর্মে রয়েছেন রাফিনিয়া। অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আনচেলত্তির অধীনেই দুর্দান্ত পারফরম করেছেন ভিনিসিয়ুস। এবার জাতীয় দলেও তার কোচ হলেন আনচেলত্তি।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চাপের মুখে ব্রাজিল
দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এখনো নিশ্চিত হয়নি ব্রাজিলের মূল পর্বের টিকিট। ১৪ ম্যাচে পাঁচটি হার নিয়ে দলটি রয়েছে চতুর্থ স্থানে। এই পরিস্থিতিতে আনচেলত্তির কোচিংয়ে নতুন পরিকল্পনায় ঘুরে দাঁড়াতে চায় সেলেসাওরা।
ব্রাজিল স্কোয়াড (বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব):
গোলরক্ষক: আলিসন (লিভারপুল), বেন্তো (আল নাসর), হুগো সুজা (করিন্থিয়ানস)।
ডিফেন্ডার: আলেক্সসান্দ্রো (ফ্লামেঙ্গো), রিবেইরো (লিল), বেরালদো (পিএসজি), অগুস্তো (ইন্টার), দানিলো, লেও ওর্তিস, ওয়েসলি (সবাই ফ্লামেঙ্গো), মার্কিনিওস (পিএসজি), ভেন্দারসন (মোনাকো)।
মিডফিল্ডার: আন্দ্রেয়াস পেরেইরা (ফুলহ্যাম), আন্দ্রে সান্তোস (স্ট্রাসবুর্গ), ব্রুনো গিমারেশ (নিউক্যাসল), কাসেমিরো (ম্যান ইউ), এডারসন (আতালান্তা), গারসন (ফ্লামেঙ্গো)।
ফরোয়ার্ড: অ্যান্টনি (বেটিস), এস্তেভাও (পালমেইরাস), মার্তিনেলি (আর্সেনাল), কুনিয়া (উলভস), রাফিনিয়া (বার্সেলোনা), রিশার্লিসন (টটেনহ্যাম), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ)।