ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
শাহবাগীদের বিচার দাবি হেফাজতের, জুলাইয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান সুস্পষ্ট লঘুচাপ ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার শঙ্কা, ছয় বিভাগে অতিভারি বর্ষণের পূর্বাভাস হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা চায় সরকার কুকি-চিনের ইউনিফর্ম সন্দেহে চট্টগ্রামে গার্মেন্টস থেকে ফের ১৫ হাজার পোশাক জব্দ বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার সংখ্যা বেড়ে ২৪৪ ঈদুল আজহা উপলক্ষে পাঁচদিন পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ থাকবে নাম বদলানো হলো ১৯৫টি স্টেডিয়াম ও ক্রীড়া স্থাপনার বোরো সংগ্রহ সফল হবে বলে আশা খাদ্য উপদেষ্টার ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

মুন্সীগঞ্জে দেশের প্রথম ভ্যাকসিন কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে দেশের প্রথম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গোপালগঞ্জে প্লান্ট স্থাপনের পূর্বের পরিকল্পনা বাতিল করে বর্তমান সরকার মুন্সীগঞ্জকেই বেছে নিয়েছে।

 

২০২০ সালে করোনাকালে গোপালগঞ্জে ‘এসেনসিয়াল বায়োটেক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’ স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয় এবং ২০২৪ সালে ইডিসিএলের তৃতীয় কারখানার পাশে ৭ একর জমি অধিগ্রহণও করা হয়। তবে সরকার পরিবর্তনের পর সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।

 

এছাড়া, ইডিসিএলের তেজগাঁওয়ের পুরানো কারখানাটি মানিকগঞ্জে স্থানান্তরের প্রস্তাবও বাতিল করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সরকার পরিকল্পনা থেকে সরে আসে।

 

সরকার এখন মুন্সীগঞ্জে দুটি কারখানা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ৪০ একর জমিতে বিসিকের কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে গড়ে উঠবে। বিদেশি বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের প্রশিক্ষণের জন্য পাঁচতারকা মানের আবাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয় সুবিধা থাকায় মুন্সীগঞ্জকেই উপযুক্ত মনে করা হয়েছে।

 

বিসিক চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক জানান, ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞ দল কারখানা স্থাপনযোগ্যতা যাচাই করে গ্রিন সিগনাল দিয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হবে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে টিকা উৎপাদন শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই প্লান্টে ১৫ ধরনের টিকা উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে ৬ ধরনের এবং ২০২৯ সালে আরও ৯ ধরনের টিকা উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটি সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে ২০৩০ সালে।

 

তেজগাঁওয়ের কারখানা মানিকগঞ্জে স্থানান্তরের পূর্ব পরিকল্পনা বাতিলের পেছনে ছিল জাহিদ মালেক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে জমি দামের কৃত্রিম বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ। তৎকালীন জেলা প্রশাসকের প্রতিবেদন অনুযায়ী এতে সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হতো।

জনপ্রিয়

শাহবাগীদের বিচার দাবি হেফাজতের, জুলাইয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান

মুন্সীগঞ্জে দেশের প্রথম ভ্যাকসিন কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে দেশের প্রথম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গোপালগঞ্জে প্লান্ট স্থাপনের পূর্বের পরিকল্পনা বাতিল করে বর্তমান সরকার মুন্সীগঞ্জকেই বেছে নিয়েছে।

 

২০২০ সালে করোনাকালে গোপালগঞ্জে ‘এসেনসিয়াল বায়োটেক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’ স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয় এবং ২০২৪ সালে ইডিসিএলের তৃতীয় কারখানার পাশে ৭ একর জমি অধিগ্রহণও করা হয়। তবে সরকার পরিবর্তনের পর সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।

 

এছাড়া, ইডিসিএলের তেজগাঁওয়ের পুরানো কারখানাটি মানিকগঞ্জে স্থানান্তরের প্রস্তাবও বাতিল করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সরকার পরিকল্পনা থেকে সরে আসে।

 

সরকার এখন মুন্সীগঞ্জে দুটি কারখানা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ৪০ একর জমিতে বিসিকের কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে গড়ে উঠবে। বিদেশি বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের প্রশিক্ষণের জন্য পাঁচতারকা মানের আবাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয় সুবিধা থাকায় মুন্সীগঞ্জকেই উপযুক্ত মনে করা হয়েছে।

 

বিসিক চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক জানান, ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞ দল কারখানা স্থাপনযোগ্যতা যাচাই করে গ্রিন সিগনাল দিয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হবে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে টিকা উৎপাদন শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই প্লান্টে ১৫ ধরনের টিকা উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে ৬ ধরনের এবং ২০২৯ সালে আরও ৯ ধরনের টিকা উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটি সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে ২০৩০ সালে।

 

তেজগাঁওয়ের কারখানা মানিকগঞ্জে স্থানান্তরের পূর্ব পরিকল্পনা বাতিলের পেছনে ছিল জাহিদ মালেক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে জমি দামের কৃত্রিম বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ। তৎকালীন জেলা প্রশাসকের প্রতিবেদন অনুযায়ী এতে সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হতো।