ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে ঐক্য ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী সংযুক্তিসহ ১২টি সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে ইসি রেমিট্যান্সে রেকর্ড প্রবাহ: এপ্রিলের ২৯ দিনে এসেছে ২৬০ কোটি ডলার মহান মে দিবস আজ: শ্রমিক-মালিক এক হয়ে গড়বে নতুন বাংলাদেশ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি পেল বরিশালের আমড়া ৩২ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ৭২-এর সংবিধান বাতিল করে নতুন গঠনতন্ত্র চান ফরহাদ মজহার আন্দোলনের জেরে ইউআইইউ শিক্ষার্থী কুপিয়ে আহত কিশোরগঞ্জে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু কাউখালীতে নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনে ড্রেজার ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা

যুদ্ধের জন্য ‘উচ্চতর প্রস্তুতি’ গ্রহণের ইঙ্গিত প্রধান উপদেষ্টার

সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে বিশেষ গুরুতারোপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি যুদ্ধের জন্য ‘উচ্চতর প্রস্তুতি’ গ্রহণের ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে প্রতিনিয়ত যুদ্ধের আশঙ্কা ঘিরে থাকার বাস্তবতায় প্রস্তুতি ছাড়া টিকে থাকা সম্ভব নয়।’

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ বিমানবাহিনী আয়োজিত ‘আকাশ বিজয়’ মহড়া শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, ‌‘আমি নিজেও যুদ্ধবিরোধী মানুষ। পৃথিবীতে যুদ্ধ হোক, সেটা কখনোই কাম্য নয়। যুদ্ধের প্রস্তুতিও অনেক সময় সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়, তাই এ বিষয়েও আমার আপত্তি আছে।’

তিনি বলেন, ‘এমন এক বিশ্বে আমরা বাস করি, যেখানে প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি আমাদের ঘিরে থাকে। এই বাস্তবতায় প্রস্তুতি না নেওয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।’

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আজ সকালে খবর দেখলাম- ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমনকি কেউ কেউ বলছেন, আজই যুদ্ধ শুরু হতে পারে। হতে পারে গুজব, তবু বাস্তবতাকে অস্বীকার করা যায় না।’

প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আধাআধি প্রস্তুতির কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের সংকটে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তাই আমাদের প্রস্তুতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।’

অর্থনৈতিক দিক তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, ‘যুদ্ধ ব্যয়বহুল একটি বিষয়। আমাদের অর্থনীতি দুর্বল। বিগত সরকারের লুটপাট ও অনিয়মের কারণে যা ছিল তাও নষ্ট হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের সুস্পষ্ট কৌশল ঠিক করতে হবে।একদিকে শান্তির হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, অন্যদিকে রাখতে হবে সুদৃঢ় প্রস্তুতি।’

বিমানবাহিনীর মহড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মহড়াটি দেখে দারুণ লেগেছে। সাধারণত এসব দৃশ্য আমরা সিনেমায় দেখি, বাস্তবে দেখার সুযোগ খুব একটা হয় না। আজ তা হলো।’

মহড়ায় অংশ নেওয়া সেনাদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের শুধু সামরিক সাহস নয়, জাতীয় আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়। আমাদের ছেলেমেয়েরা কতটা দক্ষভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে, তা দেখে গর্ব হয়।’

জনপ্রিয়

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে ঐক্য ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

যুদ্ধের জন্য ‘উচ্চতর প্রস্তুতি’ গ্রহণের ইঙ্গিত প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত: ১০ ঘন্টা আগে

সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে বিশেষ গুরুতারোপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি যুদ্ধের জন্য ‘উচ্চতর প্রস্তুতি’ গ্রহণের ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে প্রতিনিয়ত যুদ্ধের আশঙ্কা ঘিরে থাকার বাস্তবতায় প্রস্তুতি ছাড়া টিকে থাকা সম্ভব নয়।’

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ বিমানবাহিনী আয়োজিত ‘আকাশ বিজয়’ মহড়া শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, ‌‘আমি নিজেও যুদ্ধবিরোধী মানুষ। পৃথিবীতে যুদ্ধ হোক, সেটা কখনোই কাম্য নয়। যুদ্ধের প্রস্তুতিও অনেক সময় সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়, তাই এ বিষয়েও আমার আপত্তি আছে।’

তিনি বলেন, ‘এমন এক বিশ্বে আমরা বাস করি, যেখানে প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি আমাদের ঘিরে থাকে। এই বাস্তবতায় প্রস্তুতি না নেওয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।’

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আজ সকালে খবর দেখলাম- ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমনকি কেউ কেউ বলছেন, আজই যুদ্ধ শুরু হতে পারে। হতে পারে গুজব, তবু বাস্তবতাকে অস্বীকার করা যায় না।’

প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আধাআধি প্রস্তুতির কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের সংকটে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তাই আমাদের প্রস্তুতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।’

অর্থনৈতিক দিক তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, ‘যুদ্ধ ব্যয়বহুল একটি বিষয়। আমাদের অর্থনীতি দুর্বল। বিগত সরকারের লুটপাট ও অনিয়মের কারণে যা ছিল তাও নষ্ট হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের সুস্পষ্ট কৌশল ঠিক করতে হবে।একদিকে শান্তির হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, অন্যদিকে রাখতে হবে সুদৃঢ় প্রস্তুতি।’

বিমানবাহিনীর মহড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মহড়াটি দেখে দারুণ লেগেছে। সাধারণত এসব দৃশ্য আমরা সিনেমায় দেখি, বাস্তবে দেখার সুযোগ খুব একটা হয় না। আজ তা হলো।’

মহড়ায় অংশ নেওয়া সেনাদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের শুধু সামরিক সাহস নয়, জাতীয় আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়। আমাদের ছেলেমেয়েরা কতটা দক্ষভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে, তা দেখে গর্ব হয়।’