ঢাকা , বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ইসরাইলের গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ ইয়েমেনে হামলা চালাতে গিয়ে সাগরে ডুবে গেল সর্বাধুনিক মার্কিন যুদ্ধবিমান হামলার বদলা নিতে সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি মানবিক করিডর নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব ১৩০টি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের দিকে তাক করা আছে : পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে সিরিয়ার ‘অসম্মতি’ ঢাকায় ছোটপর্দার অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে দীর্ঘতম ম্যাচের নতুন রেকর্ড বাংলাদেশের কাশ্মীর হামলার জেরে ফের সিসিএস বৈঠকে বসছেন মোদি, সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে লিবারেল পার্টির জয়, প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মার্ক কার্নি

কাশ্মীর হামলার জেরে ফের সিসিএস বৈঠকে বসছেন মোদি, সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা

জম্মু-কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ফের ভারতের মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির (সিসিএস) বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সকাল ১১টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। এটি এ ঘটনার পর দ্বিতীয়বারের মতো সিসিএস বৈঠক।

সিসিএস ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি। কাশ্মীরে হামলার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত জুড়ে। মোদি সরকারের সাম্প্রতিক কড়া অবস্থানের পর যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা বাড়ছে।

গত বৃহস্পতিবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ, সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি বাতিলসহ পাঁচটি কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরপর ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয় এবং হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দেয় দিল্লি।

বুধবারের সিসিএস বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি (সিসিপিএ)-র সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এই কমিটিতে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ, যোগাযোগমন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাসহ জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরা। এরপর মোদি অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির সঙ্গেও আলোচনা করবেন।

ভারতের এসব পদক্ষেপের জবাবে পাকিস্তানও কড়া অবস্থান নিয়েছে। তারা ভারতীয়দের পাকিস্তান ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে এনেছে। পাশাপাশি সিমলা চুক্তিসহ অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছে ইসলামাবাদ।

এই পরিস্থিতিতে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে প্রতি রাতেই গোলাগুলির খবর পাওয়া যাচ্ছে। যুদ্ধাবস্থার আশঙ্কায় সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা ব্যাপক আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের এমন উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তাকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

জনপ্রিয়

ইসরাইলের গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ

কাশ্মীর হামলার জেরে ফের সিসিএস বৈঠকে বসছেন মোদি, সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা

প্রকাশিত: ৯ ঘন্টা আগে

জম্মু-কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ফের ভারতের মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির (সিসিএস) বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সকাল ১১টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। এটি এ ঘটনার পর দ্বিতীয়বারের মতো সিসিএস বৈঠক।

সিসিএস ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি। কাশ্মীরে হামলার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত জুড়ে। মোদি সরকারের সাম্প্রতিক কড়া অবস্থানের পর যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা বাড়ছে।

গত বৃহস্পতিবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ, সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি বাতিলসহ পাঁচটি কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরপর ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয় এবং হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দেয় দিল্লি।

বুধবারের সিসিএস বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি (সিসিপিএ)-র সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এই কমিটিতে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ, যোগাযোগমন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাসহ জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরা। এরপর মোদি অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির সঙ্গেও আলোচনা করবেন।

ভারতের এসব পদক্ষেপের জবাবে পাকিস্তানও কড়া অবস্থান নিয়েছে। তারা ভারতীয়দের পাকিস্তান ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে এনেছে। পাশাপাশি সিমলা চুক্তিসহ অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছে ইসলামাবাদ।

এই পরিস্থিতিতে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে প্রতি রাতেই গোলাগুলির খবর পাওয়া যাচ্ছে। যুদ্ধাবস্থার আশঙ্কায় সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা ব্যাপক আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের এমন উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তাকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।