ঢাকা , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫ , ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাইয়ের প্রথম ছয় দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ১৫.৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমেছে সার্বিক ও খাদ্য মূল্যস্ফীতি: জুনে নতুন তথ্য জানাল বিবিএস কারিগরি শিক্ষার্থীরাই নতুন বাংলাদেশ গড়ার কারিগর: ড. আবরার সূচকের বড় উত্থানে সপ্তাহ শুরু পুঁজিবাজারে, ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে, সিএসইতে কমেছে পুতিনের বরখাস্তের পর আত্মহত্যা করলেন রাশিয়ার সাবেক পরিবহনমন্ত্রী ‘জবাবদিহি না করলে ইসরায়েলকে ভুগতে হবে’— হুঁশিয়ারি ইরানের চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ বিশ্ববাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডাকলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষকের জন্য সুখবর ইমামদের সম্মেলনে ইসলামপন্থীদের ঐক্যের আহ্বান জানালেন মাসুদ সাঈদী সীমান্তে কাস্তে হাতে কৃষক বাবুলকে স্মরণ করলেন নাহিদ ইসলাম ইসলামি এনজিওদের সামাজিক ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার টেকনাফে পাহাড়ে ডাকাতের আস্তানায় গোলাগুলি, অস্ত্র-গুলি-মাদকসহ যুবক উদ্ধার প্লট দুর্নীতি মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, জয়সহ ১০০ জনকে আদালতে হাজিরের গেজেট প্রকাশ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট নিয়োগ, আবেদন শেষ ২৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ সক্রিয় বিবেচনায়: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর রাউজানে বোরকাপরা দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবদলকর্মী নিহত জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হামাসের যোদ্ধার সংখ্যা ফের ৪০ হাজারে পৌঁছেছে

প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষকের জন্য সুখবর

  • আপলোড সময় : ০৭-০৭-২০২৫ ০৩:৫২:০৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০৭-২০২৫ ০৫:৪১:৩২ অপরাহ্ন
প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষকের জন্য সুখবর
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার প্রক্রিয়া সক্রিয়ভাবে বিবেচনাধীন রয়েছে। গতকাল শনিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠি সব উপপরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
 
রোববার অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা এ চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়ে সরকারের যেহেতু কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই, তাই এ বিষয়টি সরকার পজিটিভলি বিবেচনা করছে।
 
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি- একটি গ্রুপ এই প্রমোশনকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছে। তাই সাধারণ শিক্ষকদেরকে এদের থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে এই পত্র জারি করি। আমরা আশা করি, এরপর থেকে কোনো প্রধান শিক্ষক বিপথগামী গ্রুপের ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব হবেন না।
 
মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়ে আমরা অধিদপ্তর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি, সেখান থেকে তা অর্থ মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে বাকি কাজ শেষ করে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে এক্ষেত্রে কিছু সময় লাগতে পারে।
 
চিঠিতে বলা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, রিট পিটিশন নম্বর-৩২১৪/২০১৮ এর বিপরীতে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রিটকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ রায় বাস্তবায়নে সম্মতি দিয়েছে। অবশিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেড বাস্তবায়নের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।’
 
শিক্ষকরা জানান, শুধু রিটকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি ছিল, দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেড বাস্তবায়ন। এছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল ১১তম গ্রেডে বাস্তবায়ন। আমাদের দাবি, সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
 
এর আগে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ৯ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেয় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। সেদিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করে। এটাকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির তৎকালীন সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক রিট করেন।
 
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ৪৫ জন রিট আবেদনকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে অফিশিয়াল গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করাসহ তিনটি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
 
এর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে রাষ্ট্রপক্ষ, যা ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জানুয়ারি খারিজ হয়। এই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে একই বছর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করে সিদ্ধান্ত দেন আপিল বিভাগ।
 
এদিকে অধিদপ্তরের অফিস আদেশে বলা হয়, ১০ গ্রেড বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ফৌজদারি অপরাধের শামিল। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কোনোরূপ আর্থিক লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ করা হলো এবং চাঁদাবাজি বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণকারীদের নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

নিউজটি আপডেট করেছেন : স্টাফ রিপোর্টার-2

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
জুলাইয়ের প্রথম ছয় দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ১৫.৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

জুলাইয়ের প্রথম ছয় দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ১৫.৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি