ঢাকা , শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

আন্দোলনে নিহত হাসানের মরদেহ ৭ মাস পর বুঝে পেলেন স্বজনরা

ডিএনএ’র মাধ্যমে শনাক্ত হলো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাত্রাবাড়িতে পুলিশের গুলিতে নিহত এক যুবকের মরদেহ। ওই যুবকের নাম হাসান (২০)। সাত মাস পর স্বজনরা হাসানের মরদেহ বুঝে পেলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাসানের মরদেহ পরিবারের কাছে লিখিতভাবে হস্তান্তর করা হয়। তবে আজ শুক্রবার পর্যন্ত মরদেহ মরচুয়ারিতে থাকবে। জুমা নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মসজিদে হাসানের জানাজা হবে।

 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহত হাসানের বাবা মনির হোসেন বলেন, গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে আমার ভাই ও হাসানের খালা ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে হাসানের মরদেহ শনাক্তের কথা বলেন। সে অনুযায়ী গত ১৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ি থানার মাধ্যমে আদালতের নির্দেশে মালিবাগ সিআইডি অফিসে আমি এবং হাসানের মা গোলেনুর বেগম ডিএনএ নমুনা দেই। ১২ ফেব্রুয়ারি আমাদের জানানো হয় হাসানের ডিএনএ’র সঙ্গে আমাদের ডিএনএ মিলে গেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মসজিদে হাসানের জানাজা হবে। এরপর মরদেহ গ্রামের বাড়ি নেওয়া হবে এবং সেখানে দাফন করা হবে। খবর বাংলানিউজের।

মনির হোসেন আরও বলেন, তাদের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার কাছিয়া সাহা মাদার গ্রামে। হাসান যাত্রাবাড়ী সুতিখালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় থাকতো। এবং গুলিস্তান এরশাদ মার্কেটে একটি ইলেক্ট্রিকের দোকানে কাজ করত। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে হাসান ছিল বড়। গত ৫ আগস্ট সুতিখালপাড়ের বাসা থেকে বের হয়। এরপর আর বাসায় ফিরেনি। অনেক হাসপাতালে খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। এক যুবকের পায়ে তার প্যাঁচানো অবস্থায় যাত্রাবাড়ী রামতায় পরে থাকা একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবিটাই হাসানের মরদেহ ছিল। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে আমার ছোট ভাই ও হাসানের খালা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে দেখে শনাক্ত করেন।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

আন্দোলনে নিহত হাসানের মরদেহ ৭ মাস পর বুঝে পেলেন স্বজনরা

প্রকাশিত: ০৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ডিএনএ’র মাধ্যমে শনাক্ত হলো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাত্রাবাড়িতে পুলিশের গুলিতে নিহত এক যুবকের মরদেহ। ওই যুবকের নাম হাসান (২০)। সাত মাস পর স্বজনরা হাসানের মরদেহ বুঝে পেলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাসানের মরদেহ পরিবারের কাছে লিখিতভাবে হস্তান্তর করা হয়। তবে আজ শুক্রবার পর্যন্ত মরদেহ মরচুয়ারিতে থাকবে। জুমা নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মসজিদে হাসানের জানাজা হবে।

 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহত হাসানের বাবা মনির হোসেন বলেন, গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে আমার ভাই ও হাসানের খালা ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে হাসানের মরদেহ শনাক্তের কথা বলেন। সে অনুযায়ী গত ১৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ি থানার মাধ্যমে আদালতের নির্দেশে মালিবাগ সিআইডি অফিসে আমি এবং হাসানের মা গোলেনুর বেগম ডিএনএ নমুনা দেই। ১২ ফেব্রুয়ারি আমাদের জানানো হয় হাসানের ডিএনএ’র সঙ্গে আমাদের ডিএনএ মিলে গেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মসজিদে হাসানের জানাজা হবে। এরপর মরদেহ গ্রামের বাড়ি নেওয়া হবে এবং সেখানে দাফন করা হবে। খবর বাংলানিউজের।

মনির হোসেন আরও বলেন, তাদের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার কাছিয়া সাহা মাদার গ্রামে। হাসান যাত্রাবাড়ী সুতিখালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় থাকতো। এবং গুলিস্তান এরশাদ মার্কেটে একটি ইলেক্ট্রিকের দোকানে কাজ করত। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে হাসান ছিল বড়। গত ৫ আগস্ট সুতিখালপাড়ের বাসা থেকে বের হয়। এরপর আর বাসায় ফিরেনি। অনেক হাসপাতালে খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। এক যুবকের পায়ে তার প্যাঁচানো অবস্থায় যাত্রাবাড়ী রামতায় পরে থাকা একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবিটাই হাসানের মরদেহ ছিল। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে আমার ছোট ভাই ও হাসানের খালা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে দেখে শনাক্ত করেন।