ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে শনিবার সকালে সাতকানিয়ার কেরানীহাট বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন বাসের যাত্রী ও ছাত্র-জনতা।

অবরোধের কারণে মহাসড়কে প্রায় ১৫ কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়। প্রশাসনের কাছে কয়েকটি দাবি তুলে ধরে বিক্ষুব্ধ জনতা। দাবি আদায়ের আশ্বাস পেয়ে বেলা ১১টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়

স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম ও মো. ফারুক জানান, শনিবার সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ অবরোধ শুরু করে একদল যুবক। পরে জানা যায় চট্টগ্রাম শহরে আসা-যাওয়ার সময় বাসের চালক ও সহকারীরা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করেন, যার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র ও জনতা।

আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম শহর থেকে কেরানীহাট পর্যন্ত ৮০ টাকা, লোহাগাড়ার আমিরাবাদ থেকে ১০০ টাকা, প্রতিটি বাসে ভাড়ার তালিকা টানানো, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবারের অজুহাতে ভাড়া বেশি নেওয়া যাবে না, টিকিট ছাড়া সব গাড়িতে কেরানীহাট ও আমিরাবাদের যাত্রী নিতে হবে এবং সরকারি যে কোনো বন্ধের দিন ভাড়া ৮০ টাকা নির্ধারিত থাকতে হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্র ও শনিবার সরকারি বন্ধের দিন। যে কারণে আগের দিন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শহর থেকে গ্রামের বাড়ি ফেরে লোকজন। আবার ছুটি কাটিয়ে শনিবার বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম শহরের দিকে ফেরেন। এ কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় বৃহস্পতি ও শনিবার যাত্রীর চাপ বেশি থাকে। এই সুযোগে বাস ভাড়া বাড়িয়ে দেন চালক ও হেলপাররা। সাধারণত চট্টগ্রাম শহর-কেরানীহাট বাজার পর্যন্ত বাস ভাড়া ৮০ টাকা, চট্টগ্রাম শহর-আমিরাবাদ পর্যন্ত ১০০ টাকা। অথচ সুযোগ বুঝে নেওয়া হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা।

আন্দোলনকারীদের মধ্যে সাতকানিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাঈদ হোসেন মানিক জানান, গণপরিবহনের ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বছরের পর বছর চলে আসা বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও তারা কোনো সমাধানের উদ্যোগ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করতে হয়েছে।

অবরোধে নেতৃত্ব দেন কলেজ শিক্ষার্থী মো. ফরহাদ, মো. হাসান, মো. সাকিব, মো. শাহরিয়া, মো. সাঈদ ও মো. আরাফাত নামে এক পরিবহন শ্রমিক।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমার ভাষ্য, মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে দাবি আদায়ের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কিছু সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

সাতকানিয়ার ঢেমশা ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নূরুল আলম বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে যাত্রীরা অনেক আগে থেকে প্রতিবাদ করে আসছিলেন। বিষয়টি আমরা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বসে সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। সমাধানের আগেই যাত্রী ও সাধারণ মানুষ মহাসড়ক অবরোধ করে।’

আরকান মহাসড়ক বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি আগামীতে মালিক, চালক ও যাত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসে সুরাহার চেষ্টা করা হবে।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে শনিবার সকালে সাতকানিয়ার কেরানীহাট বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন বাসের যাত্রী ও ছাত্র-জনতা।

অবরোধের কারণে মহাসড়কে প্রায় ১৫ কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়। প্রশাসনের কাছে কয়েকটি দাবি তুলে ধরে বিক্ষুব্ধ জনতা। দাবি আদায়ের আশ্বাস পেয়ে বেলা ১১টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়

স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম ও মো. ফারুক জানান, শনিবার সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ অবরোধ শুরু করে একদল যুবক। পরে জানা যায় চট্টগ্রাম শহরে আসা-যাওয়ার সময় বাসের চালক ও সহকারীরা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করেন, যার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র ও জনতা।

আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম শহর থেকে কেরানীহাট পর্যন্ত ৮০ টাকা, লোহাগাড়ার আমিরাবাদ থেকে ১০০ টাকা, প্রতিটি বাসে ভাড়ার তালিকা টানানো, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবারের অজুহাতে ভাড়া বেশি নেওয়া যাবে না, টিকিট ছাড়া সব গাড়িতে কেরানীহাট ও আমিরাবাদের যাত্রী নিতে হবে এবং সরকারি যে কোনো বন্ধের দিন ভাড়া ৮০ টাকা নির্ধারিত থাকতে হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্র ও শনিবার সরকারি বন্ধের দিন। যে কারণে আগের দিন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শহর থেকে গ্রামের বাড়ি ফেরে লোকজন। আবার ছুটি কাটিয়ে শনিবার বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম শহরের দিকে ফেরেন। এ কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় বৃহস্পতি ও শনিবার যাত্রীর চাপ বেশি থাকে। এই সুযোগে বাস ভাড়া বাড়িয়ে দেন চালক ও হেলপাররা। সাধারণত চট্টগ্রাম শহর-কেরানীহাট বাজার পর্যন্ত বাস ভাড়া ৮০ টাকা, চট্টগ্রাম শহর-আমিরাবাদ পর্যন্ত ১০০ টাকা। অথচ সুযোগ বুঝে নেওয়া হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা।

আন্দোলনকারীদের মধ্যে সাতকানিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাঈদ হোসেন মানিক জানান, গণপরিবহনের ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বছরের পর বছর চলে আসা বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও তারা কোনো সমাধানের উদ্যোগ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করতে হয়েছে।

অবরোধে নেতৃত্ব দেন কলেজ শিক্ষার্থী মো. ফরহাদ, মো. হাসান, মো. সাকিব, মো. শাহরিয়া, মো. সাঈদ ও মো. আরাফাত নামে এক পরিবহন শ্রমিক।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমার ভাষ্য, মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে দাবি আদায়ের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কিছু সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

সাতকানিয়ার ঢেমশা ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নূরুল আলম বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে যাত্রীরা অনেক আগে থেকে প্রতিবাদ করে আসছিলেন। বিষয়টি আমরা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বসে সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। সমাধানের আগেই যাত্রী ও সাধারণ মানুষ মহাসড়ক অবরোধ করে।’

আরকান মহাসড়ক বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি আগামীতে মালিক, চালক ও যাত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসে সুরাহার চেষ্টা করা হবে।