রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তিতে পোষ্য কোটার হার পুনঃনির্ধারণ করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। তবে, প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে পোষ্য কোটা বাতিল চেয়ে প্রশাসন ভবনে তালা দেওয়ার সিদ্ধান্তেই অনড় থাকার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১ জানুয়ারি) রাত ৮টায় পরিবহন মার্কেটে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার।
লিখিত বক্তব্যে সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিগত জুলাই বিপ্লবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলাম। যে বিপ্লবের মেইন মেন্ডেট ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার। কিন্তু বিপ্লব পরবর্তী কোটার যৌক্তিক সংস্কারতো হয়নি, বরং একটি অযৌক্তিক, অবৈধ কোটা এখনো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রেখে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিগত এক মাস যাবত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এবং প্রশাসনকে সময় দিয়েছে।
এই শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক সিলেকশন শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ৫ জানুয়ারি। তাই আমরা ফাইনাল একটি সিদ্ধান্তে আসার জন্য সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম আগামীকাল ২ জানুয়ারি পর্যন্ত। তার প্রেক্ষিতে আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আমরা তাদের ১ শতাংশ কোটা রাখার সিদ্ধান্তকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি এবং আমরা আমাদের আল্টিমেটামের ওপরেই অনড় আছি।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের কাছে এখনো ১৫ ঘণ্টা সময় আছে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার। আগামীকাল (২ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টার আগে প্রশাসন পোষ্য কোটা বাতিল সহ তিনটি দাবি আদায়ে সহযোগিতা না করলে সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করার জন্য, তারপর অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া হবে। সঙ্গে সব শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ থাকবে আপনারা সব ক্লাস বর্জন করে আগামীকাল সংস্কার কাজে অংশগ্রহণ করবেন।
এর আগে আজ সন্ধ্যায় স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তিতে পোষ্য কোটার হার পুনঃনির্ধারণ করে ১শতাংশ রেখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পোষ্য কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। এ সময় সালাউদ্দিন আম্মার, অর্থনীতি বিভাগের মুমিনুল হক, আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের কামরুল হাসান সজিবসহ বিভিন্ন বিভাগের ১৫ জনের অধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।