ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

সড়ক এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য একটি স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।-উপদেষ্টা নাহিদ

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত একটি জাতীয় সংলাপে সড়ক ও পরিবহন খাতে চলমান নৈরাজ্যের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রমনাস্থ বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটে আয়োজিত এই সংলাপে তিনি বলেন, “সড়ক ও পরিবহন খাতে যে নৈরাজ্য চলছে, তার সঙ্গে একটি রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত।”

নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, “এখানে আগে একটি দল ছিল, এখন অন্য দল সেই একই কাজ করছে। দুর্নীতির সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে সড়ক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা সহজ হবে না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে এবং সমাধানে রাজনৈতিক দলেরও ভূমিকা রাখতে হবে।”

তিনি উল্লেখ করেন, সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি এবং এর সাথে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো এই সংকটের সমাধানে এগিয়ে আসে, তবে পরিস্থিতি উন্নতি সম্ভব।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “বিগত সরকারের উন্নয়ন জনবান্ধব ছিল না, যার কারণে সাধারণ মানুষ সুবিধা পায়নি। ভবিষ্যতে আমরা সাধারণ মানুষের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে জনবান্ধন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করব।”

সংলাপে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান জানিয়ে দেন, “কোনো পুরাতন বাস চলাচলে থাকবে না। মালিকদের সময় দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, সড়ক এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য একটি স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। “এখানে শুধু উচ্ছেদ করা নয়, পরিকল্পিত সমাধান খুঁজে বের করতে হবে,” বলেন তিনি।

এছাড়া, তিনি জোর দিয়ে বলেন, সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার উদ্যোগী, এবং মালিকদের সঠিকভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

পরিশেষে, অনুষ্ঠানে বক্তারা একমত হন যে, সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য সড়ক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা জরুরি।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

সড়ক এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য একটি স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।-উপদেষ্টা নাহিদ

প্রকাশিত: ০২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত একটি জাতীয় সংলাপে সড়ক ও পরিবহন খাতে চলমান নৈরাজ্যের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রমনাস্থ বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটে আয়োজিত এই সংলাপে তিনি বলেন, “সড়ক ও পরিবহন খাতে যে নৈরাজ্য চলছে, তার সঙ্গে একটি রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত।”

নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, “এখানে আগে একটি দল ছিল, এখন অন্য দল সেই একই কাজ করছে। দুর্নীতির সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে সড়ক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা সহজ হবে না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে এবং সমাধানে রাজনৈতিক দলেরও ভূমিকা রাখতে হবে।”

তিনি উল্লেখ করেন, সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি এবং এর সাথে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো এই সংকটের সমাধানে এগিয়ে আসে, তবে পরিস্থিতি উন্নতি সম্ভব।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “বিগত সরকারের উন্নয়ন জনবান্ধব ছিল না, যার কারণে সাধারণ মানুষ সুবিধা পায়নি। ভবিষ্যতে আমরা সাধারণ মানুষের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে জনবান্ধন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করব।”

সংলাপে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান জানিয়ে দেন, “কোনো পুরাতন বাস চলাচলে থাকবে না। মালিকদের সময় দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, সড়ক এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য একটি স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। “এখানে শুধু উচ্ছেদ করা নয়, পরিকল্পিত সমাধান খুঁজে বের করতে হবে,” বলেন তিনি।

এছাড়া, তিনি জোর দিয়ে বলেন, সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার উদ্যোগী, এবং মালিকদের সঠিকভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

পরিশেষে, অনুষ্ঠানে বক্তারা একমত হন যে, সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য সড়ক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা জরুরি।