ঢাকা , শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

কর্ণফুলী ব্রিজের পাশে হবে বাস টার্মিনাল : মেয়র

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচিতে সমাধান দেখছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল শনিবার চন্দনাইশের কাশেম মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চন্দনাইশ উপজেলা, চন্দনাইশ পৌরসভা ও দোহাজারী পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে মেয়র এ মন্তব্য করেন।

 

জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচিকে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানান মেয়র। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে, কারণ জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে জনসম্পৃক্ত কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। কেবল হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প করে জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। কারণ যেই নালা–খাল হাজার কোটি টাকা খরচ করে বানানো হয়েছে তা যদি জনগণ দখলমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন না রাখে তাহলে জলাবদ্ধতার সমস্যা কোনোদিনও সমাধান হবে না। এজন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দেখানো পথে হাঁটতে হবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে নগরীর খাল ও বড় নালাগুলো পরিষ্কার করতে হবে। খাল খনন কর্মসূচি এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

 

ডা. শাহাদাত জানান, কর্ণফুলী ব্রিজের পাশে একটি বাস টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের যানজট নিরসনের উদ্দেশ্যে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। জায়গা চিহ্নিত করে ডিসিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করেছি। আশা করি, এটি শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে।

 

সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম প্রসারের লক্ষ্যে ৪১ ওয়ার্ডের বাইরের এলাকাগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে একটি ক্লিন, গ্রিন এবং হেলদি সিটিতে রূপান্তর করার লক্ষ্য নিয়ে আমি কাজ করছি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও রিসাইক্লিং প্রসেস চালু করে ময়লা–আবর্জনাকে সম্পদে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করেছি। বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরে নগরায়ন ও শিল্পায়ন বৃদ্ধি পাওয়ায় যুগের চাহিদা মেটাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সীমানা বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

 

পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে মেয়র জানান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং জাপানের রাষ্ট্রদূতদের সাথে বৈঠক করেছি। তাদের সহায়তায় চট্টগ্রামকে আধুনিক শহরে রূপান্তরিত করতে কাজ করছি।

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ইখতিয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, শহীদ খান, বাহার উদ্দীন, সাইফুল করিম, আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অলি হোসেন মুন্সী, মোরশেদুল আলম, জহিরুল আলম শহীদ, আবু মালেক, মুজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান, নাজিম উদ্দিন, মো. সেলিম উদ্দিন, যুবদলের সিরাজুল ইসলাম, আবদুল মজিদ শাহ, আবু বক্কর, তরিকুল ইসলাম টুটুল, আজম খান, রবিউল হোসেন ছোটন, হেলাল উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোনায়েম খান, মো. জাহাঙ্গীর, সেলিম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, এমদাদুল হক বাদশা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী মারুফ, অ্যাডভোকেট মিজানুল হক, নজরুল ইসলাম, এমদাদুল হক, আব্দুল মাবুদ, গাফফার চৌধুরী, এম এ হাশেম রাজু প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

কর্ণফুলী ব্রিজের পাশে হবে বাস টার্মিনাল : মেয়র

প্রকাশিত: ১০:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচিতে সমাধান দেখছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল শনিবার চন্দনাইশের কাশেম মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চন্দনাইশ উপজেলা, চন্দনাইশ পৌরসভা ও দোহাজারী পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে মেয়র এ মন্তব্য করেন।

 

জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচিকে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানান মেয়র। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে, কারণ জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে জনসম্পৃক্ত কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। কেবল হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প করে জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। কারণ যেই নালা–খাল হাজার কোটি টাকা খরচ করে বানানো হয়েছে তা যদি জনগণ দখলমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন না রাখে তাহলে জলাবদ্ধতার সমস্যা কোনোদিনও সমাধান হবে না। এজন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দেখানো পথে হাঁটতে হবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে নগরীর খাল ও বড় নালাগুলো পরিষ্কার করতে হবে। খাল খনন কর্মসূচি এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

 

ডা. শাহাদাত জানান, কর্ণফুলী ব্রিজের পাশে একটি বাস টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের যানজট নিরসনের উদ্দেশ্যে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। জায়গা চিহ্নিত করে ডিসিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করেছি। আশা করি, এটি শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে।

 

সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম প্রসারের লক্ষ্যে ৪১ ওয়ার্ডের বাইরের এলাকাগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে একটি ক্লিন, গ্রিন এবং হেলদি সিটিতে রূপান্তর করার লক্ষ্য নিয়ে আমি কাজ করছি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও রিসাইক্লিং প্রসেস চালু করে ময়লা–আবর্জনাকে সম্পদে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করেছি। বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরে নগরায়ন ও শিল্পায়ন বৃদ্ধি পাওয়ায় যুগের চাহিদা মেটাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সীমানা বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

 

পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে মেয়র জানান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং জাপানের রাষ্ট্রদূতদের সাথে বৈঠক করেছি। তাদের সহায়তায় চট্টগ্রামকে আধুনিক শহরে রূপান্তরিত করতে কাজ করছি।

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ইখতিয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, শহীদ খান, বাহার উদ্দীন, সাইফুল করিম, আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অলি হোসেন মুন্সী, মোরশেদুল আলম, জহিরুল আলম শহীদ, আবু মালেক, মুজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান, নাজিম উদ্দিন, মো. সেলিম উদ্দিন, যুবদলের সিরাজুল ইসলাম, আবদুল মজিদ শাহ, আবু বক্কর, তরিকুল ইসলাম টুটুল, আজম খান, রবিউল হোসেন ছোটন, হেলাল উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোনায়েম খান, মো. জাহাঙ্গীর, সেলিম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, এমদাদুল হক বাদশা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী মারুফ, অ্যাডভোকেট মিজানুল হক, নজরুল ইসলাম, এমদাদুল হক, আব্দুল মাবুদ, গাফফার চৌধুরী, এম এ হাশেম রাজু প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।