ঢাকা , শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

জি এম কাদেরকে গ্রেফতারে আইনি নোটিশ

জুলাই-অগাস্টে আন্দোলনের সময় হত্যার ঘটনায় করা মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিলুপ্ত সংসদের বিরোধী দল নেতা জি এম কাদেরকে গ্রেফতার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।

রোববার প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, মিরপুর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) ও মিরপুর মডেল থানার ওসিকে এ নোটিশ পাঠান ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান।

নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে তাদের গ্রেফতারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনগত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

আইনি নোটিশে বলা হয়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেলেও জাতীয় পার্টি সদস্যদের ও শেখ হাসিনার নামে অসংখ্য হত্যা মামলা হয়। তবে জাতীয় পার্টি কৌশল অবলম্বন করে গ্রেফতার এড়িয়ে যায়। কিন্তু বিগত আমলগুলো দেখলে ও বিগত হাসিনা সরকারের শাসনামল দেখলে লক্ষ্য করা যায়, ২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে স্বৈরাচারী সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কারণেই শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন করেছে। জাতীয় পাটির ওপর ভর করে শেখ হাসিনা জনগণের দিনের ভোট রাতে দিয়েছে এবং ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছে।

শুধুমাত্র তথাকথিত বিরোধী দল থাকার জন্য স্বৈরাচারের সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অবাধ লুটপাট করেছে। তাই সব অপরাধের দায় তাদেরকেও নিতে হবে বলে এতে বলা হয়।

নোটিশে আরো বলা হয়, শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা নির্বাচন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রীরা হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলে গেলেও জাতীয় পার্টি অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে।

আইন সবার জন্য সমান হলেও জাতীয় পার্টির দুর্নীতিবাজ এমপি মন্ত্রীদের তা এড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। ১৪ দলের নেতারা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হলেও জিএম কাদেরসহ তার অনুসারীদের আইনের আওতায় নিয়ে না আসায় জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মর্মাহত।

জি এম কাদের মিরপুর মডেল থানার এজাহারনামীয় আসামি। অথচ তাকে এই মামলার আসামির চোখে দেখা হচ্ছে না। দ্রুত হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করে শহিদদের আত্মার প্রতি সুবিচার করার অনুরোধ জানান তিনি।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

জি এম কাদেরকে গ্রেফতারে আইনি নোটিশ

প্রকাশিত: ০৮:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

জুলাই-অগাস্টে আন্দোলনের সময় হত্যার ঘটনায় করা মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিলুপ্ত সংসদের বিরোধী দল নেতা জি এম কাদেরকে গ্রেফতার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।

রোববার প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, মিরপুর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) ও মিরপুর মডেল থানার ওসিকে এ নোটিশ পাঠান ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান।

নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে তাদের গ্রেফতারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনগত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

আইনি নোটিশে বলা হয়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেলেও জাতীয় পার্টি সদস্যদের ও শেখ হাসিনার নামে অসংখ্য হত্যা মামলা হয়। তবে জাতীয় পার্টি কৌশল অবলম্বন করে গ্রেফতার এড়িয়ে যায়। কিন্তু বিগত আমলগুলো দেখলে ও বিগত হাসিনা সরকারের শাসনামল দেখলে লক্ষ্য করা যায়, ২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে স্বৈরাচারী সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কারণেই শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন করেছে। জাতীয় পাটির ওপর ভর করে শেখ হাসিনা জনগণের দিনের ভোট রাতে দিয়েছে এবং ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছে।

শুধুমাত্র তথাকথিত বিরোধী দল থাকার জন্য স্বৈরাচারের সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অবাধ লুটপাট করেছে। তাই সব অপরাধের দায় তাদেরকেও নিতে হবে বলে এতে বলা হয়।

নোটিশে আরো বলা হয়, শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা নির্বাচন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রীরা হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলে গেলেও জাতীয় পার্টি অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে।

আইন সবার জন্য সমান হলেও জাতীয় পার্টির দুর্নীতিবাজ এমপি মন্ত্রীদের তা এড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। ১৪ দলের নেতারা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হলেও জিএম কাদেরসহ তার অনুসারীদের আইনের আওতায় নিয়ে না আসায় জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মর্মাহত।

জি এম কাদের মিরপুর মডেল থানার এজাহারনামীয় আসামি। অথচ তাকে এই মামলার আসামির চোখে দেখা হচ্ছে না। দ্রুত হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করে শহিদদের আত্মার প্রতি সুবিচার করার অনুরোধ জানান তিনি।