ঢাকা , বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

লাখো মানুষের অশ্রুশিক্ত দুয়ায় বিদায় নিলেন আইনজীবী সাইফুল, পরিবারে শোকের ছায়া

চট্টগ্রামে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীদের দ্বারা নির্মমভাবে হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও স্থানীয়রা।

 

 

ঘনিষ্ঠজনদের সূত্রে জানা যায়, শহীদ সাইফুল ইসলাম নওমুসলিমদের পক্ষে কাজ করতেন। তাদের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আগ্রাসন থেকে রক্ষার চেষ্টা করেন। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলেও তিনি নিয়মিত ভারতীয় আগ্রাসন এবং ইসকনকে নিষিদ্ধ করা বিষয়ক কথা বলবেন। তাদের এবং প্রতক্ষ্যদর্শীদের মতে, পরিকল্পিতভাবে, খুব ঠান্ডা মাথায় জবাই করা হয়েছে আইনজীবী সাইফুলকে।

 

 

সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সাইফুল ইসলামের তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ইশরাত জাহান বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। সাইফুলের মা হোসনে আরা বেগম সন্তানের জন্য বিলাপ করছেন। শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন বাবা। শিশু কন্যা মাশরুরা জাহানকে নিয়ে বসে আছেন সাইফুলের শাশুড়ি সাজেদা বেগম।

 

 

 

সাইফুলের ফুফাতো ভাই আতিকুর রহমান বলেন, সাইফুল খুব নম্র ও ভদ্র ছিলেন। এলাকায় সৎ ও ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সবসময় তাকে ভালো ও সামাজিক কাজে পাওয়া যেত। আমরা তার হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসি চাই।

 

 

শাশুড়ি সাজেদা বেগম বলেন, মঙ্গলবার সকালে কোর্টে যাওয়ার সময় স্ত্রীর সঙ্গে তার শেষ কথা হয়েছে। বিকালে আদালত থেকে ফিরে স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে ফোনে কথা বলার কথা ছিল। কিন্তু আসে মৃত্যুর সংবাদ। এলাকাবাসীরা তার এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না।

 

 

লাখো মানুষের উপস্থিতিতে চট্টগ্রামে আদালত চত্বর ও জমিউতুল ফালাহা মাঠে দুই দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে সাইফুলের। পরে লোহাগাড়া উপজেলা সদরের কর্ণেল অলি আহমদ স্টেডিয়ামে দুপুরে এবং নিজ পৈত্রিক ভূমি চুনতি ফারেঙ্গা এলাকায় আছরের নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। লাখো মানুষের অশ্রুশিক্ত দুয়া এবং ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত এই আইনজীবী।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

লাখো মানুষের অশ্রুশিক্ত দুয়ায় বিদায় নিলেন আইনজীবী সাইফুল, পরিবারে শোকের ছায়া

প্রকাশিত: ০৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীদের দ্বারা নির্মমভাবে হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও স্থানীয়রা।

 

 

ঘনিষ্ঠজনদের সূত্রে জানা যায়, শহীদ সাইফুল ইসলাম নওমুসলিমদের পক্ষে কাজ করতেন। তাদের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আগ্রাসন থেকে রক্ষার চেষ্টা করেন। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলেও তিনি নিয়মিত ভারতীয় আগ্রাসন এবং ইসকনকে নিষিদ্ধ করা বিষয়ক কথা বলবেন। তাদের এবং প্রতক্ষ্যদর্শীদের মতে, পরিকল্পিতভাবে, খুব ঠান্ডা মাথায় জবাই করা হয়েছে আইনজীবী সাইফুলকে।

 

 

সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সাইফুল ইসলামের তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ইশরাত জাহান বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। সাইফুলের মা হোসনে আরা বেগম সন্তানের জন্য বিলাপ করছেন। শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন বাবা। শিশু কন্যা মাশরুরা জাহানকে নিয়ে বসে আছেন সাইফুলের শাশুড়ি সাজেদা বেগম।

 

 

 

সাইফুলের ফুফাতো ভাই আতিকুর রহমান বলেন, সাইফুল খুব নম্র ও ভদ্র ছিলেন। এলাকায় সৎ ও ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সবসময় তাকে ভালো ও সামাজিক কাজে পাওয়া যেত। আমরা তার হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসি চাই।

 

 

শাশুড়ি সাজেদা বেগম বলেন, মঙ্গলবার সকালে কোর্টে যাওয়ার সময় স্ত্রীর সঙ্গে তার শেষ কথা হয়েছে। বিকালে আদালত থেকে ফিরে স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে ফোনে কথা বলার কথা ছিল। কিন্তু আসে মৃত্যুর সংবাদ। এলাকাবাসীরা তার এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না।

 

 

লাখো মানুষের উপস্থিতিতে চট্টগ্রামে আদালত চত্বর ও জমিউতুল ফালাহা মাঠে দুই দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে সাইফুলের। পরে লোহাগাড়া উপজেলা সদরের কর্ণেল অলি আহমদ স্টেডিয়ামে দুপুরে এবং নিজ পৈত্রিক ভূমি চুনতি ফারেঙ্গা এলাকায় আছরের নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। লাখো মানুষের অশ্রুশিক্ত দুয়া এবং ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত এই আইনজীবী।