ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

আইসিসির পরোয়ানা: যেসব দেশে গ্রেফতার হতে পারেন নেতানিয়াহু

গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর ফলে তারা এখন আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার কাছে পলাতক।

 

ইসরায়েল আইসিসির এখতিয়ার স্বীকার না করলেও এবং নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট আত্মসমর্পণ করবেন না বলে জানালেও তাদের চলাচলের সুযোগ সংকুচিত হয়ে গেছে।

 

আইসিসি-র প্রতিষ্ঠাতা চুক্তি রোম সংবিধির আওতায় ১২৪টি দেশ রয়েছে। আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে এসব দেশ বাধ্য।

 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী জোনাথন কুটাব বলেছেন, আইন তৈরি হয় এই ধারণার ওপর ভিত্তি করে যে মানুষ তা মেনে চলবে। যারা আইন অমান্য করে, তারা নিজেরাই অপরাধ করছে।

 

কুটাব আরও বলেন, ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলোর মধ্যে অনেকেই, বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা, পরোয়ানা কার্যকরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 

নেতানিয়াহু এই অভিযোগগুলোকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছেন।

 

আইসিসি-র পরোয়ানা জারির পর নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্ট যেসব দেশে গ্রেফতার হতে পারেন সেগুলোর তালিকায় উল্লেখযোগ্য কিছু দেশ হলো:

 

ইউরোপ: যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, সুইডেন।

এশিয়া: বাংলাদেশ, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া।

আফ্রিকা: দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া, উগান্ডা।

উত্তর আমেরিকা: কানাডা।

দক্ষিণ আমেরিকা: আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল।

ওশেনিয়া: অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড।

এ তালিকায় থাকা ১২৪টি দেশ আইসিসির সদস্য হিসেবে পরোয়ানা কার্যকর করতে বাধ্য।

 

আইসিসির পরোয়ানা কার্যকর হলে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট তাদের মিত্র দেশগুলোতেও নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবেন না। কুটাবের মতে, এই পরোয়ানার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আইসিসির এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

 

সূত্র: আল জাজিরা

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

আইসিসির পরোয়ানা: যেসব দেশে গ্রেফতার হতে পারেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত: ০৯:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর ফলে তারা এখন আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার কাছে পলাতক।

 

ইসরায়েল আইসিসির এখতিয়ার স্বীকার না করলেও এবং নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট আত্মসমর্পণ করবেন না বলে জানালেও তাদের চলাচলের সুযোগ সংকুচিত হয়ে গেছে।

 

আইসিসি-র প্রতিষ্ঠাতা চুক্তি রোম সংবিধির আওতায় ১২৪টি দেশ রয়েছে। আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে এসব দেশ বাধ্য।

 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী জোনাথন কুটাব বলেছেন, আইন তৈরি হয় এই ধারণার ওপর ভিত্তি করে যে মানুষ তা মেনে চলবে। যারা আইন অমান্য করে, তারা নিজেরাই অপরাধ করছে।

 

কুটাব আরও বলেন, ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলোর মধ্যে অনেকেই, বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা, পরোয়ানা কার্যকরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 

নেতানিয়াহু এই অভিযোগগুলোকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছেন।

 

আইসিসি-র পরোয়ানা জারির পর নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্ট যেসব দেশে গ্রেফতার হতে পারেন সেগুলোর তালিকায় উল্লেখযোগ্য কিছু দেশ হলো:

 

ইউরোপ: যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, সুইডেন।

এশিয়া: বাংলাদেশ, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া।

আফ্রিকা: দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া, উগান্ডা।

উত্তর আমেরিকা: কানাডা।

দক্ষিণ আমেরিকা: আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল।

ওশেনিয়া: অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড।

এ তালিকায় থাকা ১২৪টি দেশ আইসিসির সদস্য হিসেবে পরোয়ানা কার্যকর করতে বাধ্য।

 

আইসিসির পরোয়ানা কার্যকর হলে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট তাদের মিত্র দেশগুলোতেও নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবেন না। কুটাবের মতে, এই পরোয়ানার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আইসিসির এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

 

সূত্র: আল জাজিরা