ঢাকা , রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

গার্মেন্টেস শ্রমিকদের আন্দোলন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন

রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরের কচুক্ষেত এলাকায় বিভিন্ন দাবিতে একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সড়কে নামেন। এসময় শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর ইট-পাটেল নিক্ষেপ করা হয়। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা রাস্তায় এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল দশটার দিকে এসব ঘটনা ঘটে। শ্রমিকরদের আন্দোলনে কচুক্ষেত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে মিরপুর-১৪ নম্বরের কচুক্ষেত সড়কে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের শান্ত করতে এলে প্রথমে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন। আত্মরক্ষায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন শ্রমিকরা। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে ভাষানটেক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই রাস্তায় ছিলাম। গার্মেন্টস শ্রমিকরা হঠাৎ করে তাদের আন্দোলন থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে তারা সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।

এদিকে, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে দেওয়া আগুন নিয়ন্ত্রণ নিভিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে কচুক্ষেতে আগুন লাগার খবর পাই আমরা। পরে ঘটনাস্থলে আমাদের দুটি ইউনিট দিয়ে গাড়ি দুটির আগুন নেভায়।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

গার্মেন্টেস শ্রমিকদের আন্দোলন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন

প্রকাশিত: ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরের কচুক্ষেত এলাকায় বিভিন্ন দাবিতে একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সড়কে নামেন। এসময় শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর ইট-পাটেল নিক্ষেপ করা হয়। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা রাস্তায় এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল দশটার দিকে এসব ঘটনা ঘটে। শ্রমিকরদের আন্দোলনে কচুক্ষেত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে মিরপুর-১৪ নম্বরের কচুক্ষেত সড়কে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের শান্ত করতে এলে প্রথমে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন। আত্মরক্ষায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন শ্রমিকরা। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে ভাষানটেক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই রাস্তায় ছিলাম। গার্মেন্টস শ্রমিকরা হঠাৎ করে তাদের আন্দোলন থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে তারা সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।

এদিকে, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে দেওয়া আগুন নিয়ন্ত্রণ নিভিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে কচুক্ষেতে আগুন লাগার খবর পাই আমরা। পরে ঘটনাস্থলে আমাদের দুটি ইউনিট দিয়ে গাড়ি দুটির আগুন নেভায়।