ঢাকা , রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪৪ পুলিশ সদস্য নিহতের তালিকা প্রকাশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত সহিংসতায় পুলিশের ৪৪ জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এই নিহতদের মধ্যে অধিকাংশের মৃত্যু হয় ৪ ও ৫ আগস্টে, যা ছিল সহিংসতার চূড়ান্ত পর্যায়। কনস্টেবল, উপপরিদর্শক, সহকারী উপপরিদর্শকসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশ বিভাগ সতর্কতার সঙ্গে সহিংসতা বা আন্দোলনের সময় আহত বা নিহত পুলিশ সদস্যদের তালিকা সংরক্ষণ করে। কেউ যদি দাবি করেন যে এই তালিকার বাইরেও কোনো পুলিশ সদস্যের মৃত্যু ঘটেছে, তবে এ বিষয়ে যথাযথ প্রমাণ সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

আগে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহতের তথ্য জানানো হলেও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। আজ প্রকাশিত তালিকায় নিহতদের নাম, পদবী, মৃত্যুর তারিখ, কর্মস্থল এবং ঘটনাস্থলসহ পূর্ণাঙ্গ তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন পুলিশ পরিদর্শক, ১১ জন উপপরিদর্শক (এসআই), ৭ জন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), ১ জন এটিএসআই, ১ জন নায়েক এবং ২১ জন কনস্টেবল, যাঁরা বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত ছিলেন।

নিহত পুলিশ সদস্যদের তালিকায় একজন টিএসআই আলী হোসেন চৌধুরী ও একজন নায়েক মো. গিয়াস উদ্দিনসহ ২১ জন কনস্টেবল অন্তর্ভুক্ত আছেন।নিহত ২১ পুলিশ কনস্টেবল হলেন মো. আবদুল মজিদ, রেজাউল করিম, মাহফুজুর রহমান, শাহিদুল আলম, মো. আবু হাসনাত রনি, মীর মোনতাজ আলী, সুমন কুমার ঘরামী, মোহাম্মদ আবদুল মালেক, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মো. আবদুস সালেক, মো. হাফিজুল ইসলাম, মো. রবিউল আলীম শাহ, মো. হুমায়ুন কবীর, মো. আরিফুল আযম, মো. রিয়াজুল ইসলাম, মো. শাহিন উদ্দিন, মো. এরশাদ আলী, মাইনুদ্দিন লিটন, মো. সুজন মিয়া, মো. খলিলুর রহমান ও মো. হানিফ আলী।

তালিকা বিশ্লেষণে জানা গেছে, নিহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ঢাকার ডিএমপিতে ১৪ জন, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৫ জন, এবং অন্যান্য বিভাগে বাকি সদস্যরা কর্মরত ছিলেন। সোনাইমুড়ী, তিতাস, কচুয়া, বানিয়াচং, ঢাকার এসবি, নারায়ণগঞ্জ পিবিআই, ট্যুরিস্ট পুলিশ, কুমিল্লা হাইওয়ে, কসবা, খুলনা, গাজীপুর, এবং ঢাকা জেলার থানাগুলোর সদস্যও এতে অন্তর্ভুক্ত। সহিংসতার মধ্যে ২৫ জন থানার ভেতরে বা সামনের অবস্থানে মৃত্যুবরণ করেন।

শেখ হাসিনার ক্ষমতা ছাড়ার দিন, সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন সর্বোচ্চ ২৪ জন পুলিশ সদস্য। এর আগের দিন, ৪ আগস্ট, সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। পুলিশের সদর দপ্তরের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, বেশির ভাগ মৃত্যুই ঘটেছে পুলিশের দায়িত্ব পালনকালে সহিংসতার মুখোমুখি হওয়ার সময়।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪৪ পুলিশ সদস্য নিহতের তালিকা প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত সহিংসতায় পুলিশের ৪৪ জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এই নিহতদের মধ্যে অধিকাংশের মৃত্যু হয় ৪ ও ৫ আগস্টে, যা ছিল সহিংসতার চূড়ান্ত পর্যায়। কনস্টেবল, উপপরিদর্শক, সহকারী উপপরিদর্শকসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশ বিভাগ সতর্কতার সঙ্গে সহিংসতা বা আন্দোলনের সময় আহত বা নিহত পুলিশ সদস্যদের তালিকা সংরক্ষণ করে। কেউ যদি দাবি করেন যে এই তালিকার বাইরেও কোনো পুলিশ সদস্যের মৃত্যু ঘটেছে, তবে এ বিষয়ে যথাযথ প্রমাণ সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

আগে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহতের তথ্য জানানো হলেও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। আজ প্রকাশিত তালিকায় নিহতদের নাম, পদবী, মৃত্যুর তারিখ, কর্মস্থল এবং ঘটনাস্থলসহ পূর্ণাঙ্গ তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন পুলিশ পরিদর্শক, ১১ জন উপপরিদর্শক (এসআই), ৭ জন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), ১ জন এটিএসআই, ১ জন নায়েক এবং ২১ জন কনস্টেবল, যাঁরা বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত ছিলেন।

নিহত পুলিশ সদস্যদের তালিকায় একজন টিএসআই আলী হোসেন চৌধুরী ও একজন নায়েক মো. গিয়াস উদ্দিনসহ ২১ জন কনস্টেবল অন্তর্ভুক্ত আছেন।নিহত ২১ পুলিশ কনস্টেবল হলেন মো. আবদুল মজিদ, রেজাউল করিম, মাহফুজুর রহমান, শাহিদুল আলম, মো. আবু হাসনাত রনি, মীর মোনতাজ আলী, সুমন কুমার ঘরামী, মোহাম্মদ আবদুল মালেক, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মো. আবদুস সালেক, মো. হাফিজুল ইসলাম, মো. রবিউল আলীম শাহ, মো. হুমায়ুন কবীর, মো. আরিফুল আযম, মো. রিয়াজুল ইসলাম, মো. শাহিন উদ্দিন, মো. এরশাদ আলী, মাইনুদ্দিন লিটন, মো. সুজন মিয়া, মো. খলিলুর রহমান ও মো. হানিফ আলী।

তালিকা বিশ্লেষণে জানা গেছে, নিহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ঢাকার ডিএমপিতে ১৪ জন, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৫ জন, এবং অন্যান্য বিভাগে বাকি সদস্যরা কর্মরত ছিলেন। সোনাইমুড়ী, তিতাস, কচুয়া, বানিয়াচং, ঢাকার এসবি, নারায়ণগঞ্জ পিবিআই, ট্যুরিস্ট পুলিশ, কুমিল্লা হাইওয়ে, কসবা, খুলনা, গাজীপুর, এবং ঢাকা জেলার থানাগুলোর সদস্যও এতে অন্তর্ভুক্ত। সহিংসতার মধ্যে ২৫ জন থানার ভেতরে বা সামনের অবস্থানে মৃত্যুবরণ করেন।

শেখ হাসিনার ক্ষমতা ছাড়ার দিন, সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন সর্বোচ্চ ২৪ জন পুলিশ সদস্য। এর আগের দিন, ৪ আগস্ট, সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। পুলিশের সদর দপ্তরের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, বেশির ভাগ মৃত্যুই ঘটেছে পুলিশের দায়িত্ব পালনকালে সহিংসতার মুখোমুখি হওয়ার সময়।