ঢাকা ০৫:০০:২০ পিএম, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

গুলিবিদ্ধ শিশু মুসা দেশে ফিরেছে, চলছে পুনর্বাসনের প্রস্তুতি

জুলাই মাসে গণ–অভ্যুত্থানের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত সাত বছর বয়সী শিশু বাসিত খান মুসা অবশেষে দেশে ফিরেছে। সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ পাঁচ মাস ১২ দিন চিকিৎসার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে সে ঢাকায় আসে।

 

মুসা মুস্তাফিজুর রহমান ও নিশামনি দম্পতির একমাত্র সন্তান। গত ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরার মেরাদিয়া হাট এলাকায় নিজ বাসার নিচে দাদির সঙ্গে আইসক্রিম কিনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় সে। মুসার দাদি মায়া ইসলাম (৬০) একই ঘটনায় মারা যান।

 

আহতের পর মুসাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২২ অক্টোবর সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে পাঠায় সরকার।

 

মুসার মা নিশামনি জানান, সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকেরা সতর্ক করেছেন, মুসার সংক্রমণের ঝুঁকি এখনও খুব বেশি। তাই তাকে অন্তত তিন মাস সবার থেকে আলাদাভাবে রাখতে হবে।

 

চিকিৎসকদের তথ্যমতে, গুলিটি মুসার মাথার বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে ডান পাশে আটকে গেছে, যা এখনো শরীরেই রয়েছে। তার পুরো ডান পাশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত, নিজে থেকে বসতে পারে না, নাকে নল দিয়ে খাওয়াতে হয়, কথা বলতে পারে না।

 

চিকিৎসার অংশ হিসেবে তার মাথা, গলা ও পেটে ২০টির বেশি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদে দেওয়া ব্যয়বহুল অ্যান্টিবায়োটিকে তার সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

বর্তমানে মুসাকে সিএমএইচে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এরপর তাকে সাভারের সিআরপিতে নেওয়া হবে, যেখানে ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি ও স্পিচ থেরাপির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন চলবে। এই চিকিৎসা ব্যয়ের সম্পূর্ণ দায়ভার সরকার নিয়েছে।

 

সিএমএইচের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ জানান, শিশু মুসার দ্রুত পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, যাতে সে আবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

গুলিবিদ্ধ শিশু মুসা দেশে ফিরেছে, চলছে পুনর্বাসনের প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

জুলাই মাসে গণ–অভ্যুত্থানের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত সাত বছর বয়সী শিশু বাসিত খান মুসা অবশেষে দেশে ফিরেছে। সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ পাঁচ মাস ১২ দিন চিকিৎসার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে সে ঢাকায় আসে।

 

মুসা মুস্তাফিজুর রহমান ও নিশামনি দম্পতির একমাত্র সন্তান। গত ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরার মেরাদিয়া হাট এলাকায় নিজ বাসার নিচে দাদির সঙ্গে আইসক্রিম কিনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় সে। মুসার দাদি মায়া ইসলাম (৬০) একই ঘটনায় মারা যান।

 

আহতের পর মুসাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২২ অক্টোবর সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে পাঠায় সরকার।

 

মুসার মা নিশামনি জানান, সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকেরা সতর্ক করেছেন, মুসার সংক্রমণের ঝুঁকি এখনও খুব বেশি। তাই তাকে অন্তত তিন মাস সবার থেকে আলাদাভাবে রাখতে হবে।

 

চিকিৎসকদের তথ্যমতে, গুলিটি মুসার মাথার বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে ডান পাশে আটকে গেছে, যা এখনো শরীরেই রয়েছে। তার পুরো ডান পাশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত, নিজে থেকে বসতে পারে না, নাকে নল দিয়ে খাওয়াতে হয়, কথা বলতে পারে না।

 

চিকিৎসার অংশ হিসেবে তার মাথা, গলা ও পেটে ২০টির বেশি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদে দেওয়া ব্যয়বহুল অ্যান্টিবায়োটিকে তার সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

বর্তমানে মুসাকে সিএমএইচে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এরপর তাকে সাভারের সিআরপিতে নেওয়া হবে, যেখানে ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি ও স্পিচ থেরাপির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন চলবে। এই চিকিৎসা ব্যয়ের সম্পূর্ণ দায়ভার সরকার নিয়েছে।

 

সিএমএইচের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ জানান, শিশু মুসার দ্রুত পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, যাতে সে আবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।