ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জুলাই-আগস্ট স্মৃতি জাদুঘর করবে সরকার: ফারুকী এসএসসি পরবর্তী সময়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থীর দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স শুরু বিশ্ব নাগরিক হিসেবে নতুন প্রজন্ম গড়তে শিক্ষা পরিবেশ উন্নয়নের তাগিদ সোমবার থেকে দ্বিতীয় ধাপের রাজনৈতিক সংলাপ শুরু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল রোববার দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে উন্নতি হয়েছে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত মে মাসে নারী-শিশু নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উদ্বেগজনক: এমএসএফ প্রতিবেদন জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় সিলেটে সিসিকের কন্ট্রোল রুম চালু কুষ্টিয়ায় নারী ও শিশুসহ ৯ বাংলাদেশিকে পুশইন করলো বিএসএফ রাতে লিচু খাওয়া: উপকারিতা ও সতর্কতা

ভোলায় পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ, ভেঙে গেছে জলকপাট

নিম্নচাপের প্রভাবে দ্বীপ জেলা ভোলায় ডুবে গেছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। নির্মানাধীন একটি জলকপাট ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার কয়েক হাজার মানুষ। তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে গরু-ছাগলসহ গৃহপালিত পশু। তবে এখন পর্যন্ত জেলায় কোনো প্রাণহানির সংবাদ পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত ৮টার দিকে ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজাদ জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে জেলাজুড়ে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া বইলেও দুপুরের পর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী। ভারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে জোরেশোরে বইতে শুরু করে দমকা বাতাস। দুটি নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিকেলের দিকে জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় নির্মানাধীন একটি জলকপাট (স্লুইসগেট) ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে গেছে।

এছাড়াও জেলার বিচ্ছিন্ন বেশ কয়েকটি চর পানিতে ডুবে গেছে। ভেসে গেছে কৃষকের গরু-ছাগলসহ বেশকিছু গৃহপালিত পশু, পুকুর ও ঘেরের মাছ। এরমধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঢালচর, চরকুকরি-মুকরি, চর পাতিলাসহ বেশ কয়েকটি চরাঞ্চলের মানুষ। কিছুকিছু এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রেও এসেছে।

ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজাদ জাহান জানান, প্রবল এই ঝড়-বৃষ্টিতে জেলায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে ঢালচর এলাকায় কৃষকের ৫টি গরু এবং ৩টি ছাগলসহ বেশকিছু গৃহপালিত পশু মারা গেছে এবং স্রোতে ভেসে গেছে। বিকেলের দিকে তজুমদ্দিনে একটি জলকপাট ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে।

ডিসি আরও জানান, তাৎক্ষণিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি এই প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে জেলায় প্রায় ৪০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বেশকিছু পুকুর ও মাছের ঘের ডুবে গেছে। প্রতিটি উপজেলারই কিছুকিছু এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তবে আমাদের প্রস্তুত রাখা ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে তেমন কোনো মানুষ আসেনি। শুধুমাত্র সদর উপজেলার চর চটকিমারা এলাকায় একটি স্কুলে বেশকিছু মানুষ এসেছে। এছাড়াও ঢালচর, চর মোজাম্মেল ও চর পাতিলার কিছুকিছু আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ এসেছে। তবে এ চরগুলো বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এখনো সেখানে শুকনো খাবার পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

সার্বিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সবসময় সব জায়গার খোঁজখবর নিচ্ছি। আমরা চাচ্ছি যেন কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে। যেখানেই আমরা খারাপ অবস্থার কথা শুনছি, সেখানেই আমরা আমাদের টিম পাঠাচ্ছি। তবে তীব্র বাতাস এবং ভারিবর্ষণের কারণে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পানিবন্দি মানুষদেরকে শুকনো খাবার দেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

জুলাই-আগস্ট স্মৃতি জাদুঘর করবে সরকার: ফারুকী

ভোলায় পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ, ভেঙে গেছে জলকপাট

প্রকাশিত: ১০:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

নিম্নচাপের প্রভাবে দ্বীপ জেলা ভোলায় ডুবে গেছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। নির্মানাধীন একটি জলকপাট ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার কয়েক হাজার মানুষ। তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে গরু-ছাগলসহ গৃহপালিত পশু। তবে এখন পর্যন্ত জেলায় কোনো প্রাণহানির সংবাদ পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত ৮টার দিকে ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজাদ জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে জেলাজুড়ে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া বইলেও দুপুরের পর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী। ভারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে জোরেশোরে বইতে শুরু করে দমকা বাতাস। দুটি নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিকেলের দিকে জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় নির্মানাধীন একটি জলকপাট (স্লুইসগেট) ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে গেছে।

এছাড়াও জেলার বিচ্ছিন্ন বেশ কয়েকটি চর পানিতে ডুবে গেছে। ভেসে গেছে কৃষকের গরু-ছাগলসহ বেশকিছু গৃহপালিত পশু, পুকুর ও ঘেরের মাছ। এরমধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঢালচর, চরকুকরি-মুকরি, চর পাতিলাসহ বেশ কয়েকটি চরাঞ্চলের মানুষ। কিছুকিছু এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রেও এসেছে।

ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজাদ জাহান জানান, প্রবল এই ঝড়-বৃষ্টিতে জেলায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে ঢালচর এলাকায় কৃষকের ৫টি গরু এবং ৩টি ছাগলসহ বেশকিছু গৃহপালিত পশু মারা গেছে এবং স্রোতে ভেসে গেছে। বিকেলের দিকে তজুমদ্দিনে একটি জলকপাট ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে।

ডিসি আরও জানান, তাৎক্ষণিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি এই প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে জেলায় প্রায় ৪০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বেশকিছু পুকুর ও মাছের ঘের ডুবে গেছে। প্রতিটি উপজেলারই কিছুকিছু এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তবে আমাদের প্রস্তুত রাখা ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে তেমন কোনো মানুষ আসেনি। শুধুমাত্র সদর উপজেলার চর চটকিমারা এলাকায় একটি স্কুলে বেশকিছু মানুষ এসেছে। এছাড়াও ঢালচর, চর মোজাম্মেল ও চর পাতিলার কিছুকিছু আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ এসেছে। তবে এ চরগুলো বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এখনো সেখানে শুকনো খাবার পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

সার্বিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সবসময় সব জায়গার খোঁজখবর নিচ্ছি। আমরা চাচ্ছি যেন কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে। যেখানেই আমরা খারাপ অবস্থার কথা শুনছি, সেখানেই আমরা আমাদের টিম পাঠাচ্ছি। তবে তীব্র বাতাস এবং ভারিবর্ষণের কারণে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পানিবন্দি মানুষদেরকে শুকনো খাবার দেওয়া হবে।