উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এখন পর্যন্ত ১১ জনের মরদেহ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআরের তথ্যমতে, নিহতদের মধ্যে সিএমএইচে ১১ জন, বার্ন ইনস্টিটিউটে ২ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২ জন, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে ২ জন এবং উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ১ জন রয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল জানান, দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সাইদুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ১৬ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে এবং বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৮ জন আহত রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর বিমানটিতে একাই ছিলেন এবং তিনিও নিহত হয়েছেন বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি ছাড়াও স্থানীয় জনগণ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরাও অংশগ্রহণ করেছেন। সরকার আহত ও দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।