
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গত ৩০ বছর ধরে আমাদের যা উপহার দিচ্ছে তা বেকারত্ব ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম।
আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ে ইকো ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (ইআইইটি) এবং ইকো ইনস্টিটিউট অব এগ্রিকালচার (ইআইএ)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে প্রতি বছর যে হারে সাধারণ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী তৈরি হচ্ছে, সেই বিপুলসংখ্যক তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ অর্থনীতিতে নেই। এর একমাত্র সমাধান হিসেবে তিনি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকেই ভবিষ্যতের পথ হিসেবে উল্লেখ করেন।
ড. কবিরুল ইসলাম দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তির উদাহরণ টানতে গিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘ভিশনারি লিডার’ হিসেবে আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতির যে অবস্থানে আছি, তার বীজ বুনেছিলেন তিনি। দুটো ভিত্তির ওপরে আমরা দাঁড়িয়ে আছি—রেমিট্যান্স আর গার্মেন্টস, দুটোই উনি বপন করেছিলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়টা করতেন না।
তিনি করতেন এই টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি।’
দেশের বেকারত্ব সমস্যার চিত্র তুলে ধরে সচিব বলেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। প্রতি বছর এখান থেকে ৮-১০ লাখ এবং অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও ২ লাখসহ মোট ১২ লাখ স্নাতক বের হয়। অথচ আমাদের চাকরির সুযোগ আছে মাত্র ২ লাখের।
এর মানে, আমরা প্রতি বছর ১০ লাখ বেকার তৈরি করছি। কথাটা খুব কঠিন শোনালেও এটাই সমাধান আমি মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘আমি যদি ক্ষমতাবান হতাম, আমি সবার আগে এই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতাম।’
আশার কথা শুনিয়ে তিনি জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছরের কোর্সের মধ্যে একটি কারিগরি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে।