
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সাধারণ জনগণ, কৃষক-শ্রমিক, নারী-শিশু এবং শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথিত ‘ক্যাঙারু কোর্টে’ বিচার বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যৌথভাবে আগামী ২০ জুলাই দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতালের ডাক দিয়েছে।
এই চার সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে দাবি করা হয়, খুনি-জঙ্গি-অবৈধ-ফ্যাসিস্ট ইউনূস পরিচালিত সরকারের দমনপীড়ন ও সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এই হরতাল শুধু প্রতিবাদ নয়, বরং এটি একটি গণআন্দোলনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা। তারা জানান, গোপালগঞ্জের পবিত্র মাটিতে চালানো এই হামলা ও হত্যাকাণ্ড জাতির বিবেককে চরমভাবে আহত করেছে এবং সরকার এর দায় এড়াতে পারে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই হরতাল ‘যমুনা ঘেরাও’ কর্মসূচির প্রস্তুতির অংশ, যা দেশে চলমান ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত লড়াইয়ের শুরু হিসেবে বিবেচিত হবে। তাদের দাবি, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার নয়, বরং রাজনৈতিক অপমান ও গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য এই বিচারকার্য পরিচালিত হচ্ছে, যা দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।
বিবৃতিতে ছাত্র-তরুণ-যুব, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীসহ দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি হরতাল সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তাদের ভাষায়, প্রিয় মাতৃভূমিকে বিদেশি স্বার্থে জঙ্গিঘাঁটিতে পরিণত ও ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বাস্তবায়ন হতে দেওয়া যাবে না। তারা ইউনূসকে হটিয়ে দেওয়ার এবং চূড়ান্ত বিজয়ের দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেন।