
চন্দনাইশে বনদস্যুদের হামলায় বনবিট কর্মকর্তাসহ ১০ আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পরানজুরানি নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। বনের গাছ কাটতে বাধা দেয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানান চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের অধীন দোহাজারী রেঞ্জ কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক এ. কে. এম ইমরুল কায়েস।
তিনি জানান, ধোপাছড়ির পরানজুরানি নামক এলাকা থেকে মোজাম্মেল হক মেম্বারসহ ১৫/২০ জনের একদল কাঠ চোর সেগুন গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে, এমন খবর পেয়ে ধোপাছড়ি বনবিট কর্মকর্তা সুদত্ত চাকমা বন রক্ষিদের নিয়ে তাদেরকে বাধা দেয়ার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় কাঠ চোরের দল সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র–শস্ত্র নিয়ে বন–বিভাগের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের হামলায় বনবিট কর্মকর্তাসহ প্রায় ১০ জন গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে ধোপাছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে। পরে চিকিৎসার জন্য তাদের দোহাজারী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহতদের মধ্যে ধোপাছড়ি বিট কর্মকর্তা সুদত্ত চাকমা, ফরেস্টার ইমন বিল্লাহ, ফরেস্ট গার্ড আবু বক্কর সিদ্দিক, শুভ ইসলাম, পাহারা দলের দল নেতা মো. কুতুবের নাম পাওয়া যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতদের দোহাজারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় বন–বিভাগের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক মেম্বার জানান, পরানজুরানি এলাকায় সড়কের উপর দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারের উপর বার বার গাছের ডাল ভেঙে পড়ছিল। এতে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনে বিঘ্ন ঘটায় স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে জনৈক মোরশেদের মালিকানাধীন গাছগুলো কেটে রাখা হয়। গাছগুলো বনবিভাগকে দেখাতেও বলেন তিনি। এদিকে খবর পেয়ে গতকাল বনবিভাগের লোকজন গাছগুলো আনতে গেলে গাছের মালিক ও স্থানীয়রা এতে বাধা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ ঘটনায় তিনি জড়িত নন বলেও জানান।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ার সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে কারা এ ঘটনা করেছে তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।