যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ৪০ লাখ গুণ দ্রুতগতির ইন্টারনেট উদ্ভাবন করল জাপান

আপলোড সময় : ১৭-০৭-২০২৫ ০৫:১২:২৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৭-০৭-২০২৫ ০৫:১২:২৬ অপরাহ্ন
বিশ্বের দ্রুততম ইন্টারনেট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দাবি করেছে জাপান। দেশটির জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট (এনআইসিটি) জানায়, তারা পরীক্ষামূলকভাবে প্রতি সেকেন্ডে ১.০২ পেটাবিট গতির ইন্টারনেট সংযোগ চালাতে সক্ষম হয়েছে। উল্লেখ্য, এক পেটাবিট সমান ১ হাজার টেরাবিট।
 
এনআইসিটির পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, এই গতির ইন্টারনেটের মাধ্যমে মাত্র এক সেকেন্ডেই সম্পূর্ণ নেটফ্লিক্স লাইব্রেরি অথবা ইংরেজি উইকিপিডিয়া ১০ হাজার বার ডাউনলোড করা সম্ভব। প্রযুক্তিবিদরা একে ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ হিসেবে অভিহিত করছেন।
 
এই বিপ্লবী প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র ০.১২৫ মিলিমিটার ব্যাসের একটি বিশেষ অপটিক ফাইবার কেবল, যাতে রয়েছে ১৯টি কোর। কেবলের ডিজাইন করেছে জাপানের সুমিতোমো ইলেকট্রিক এবং ট্রান্সমিশন সিস্টেম তৈরি করেছে এনআইসিটি। এই প্রকল্পে ইউরোপের কয়েকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানও অংশ নেয়।
 
তথ্য প্রেরণের জন্য ৮৬.১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি লুপিং সার্কিট তৈরি করা হয়, যার মাধ্যমে ২১ বার তথ্য ঘুরিয়ে প্রায় ১ হাজার ৮০৮ কিলোমিটার দূরত্বে ১৮০টি আলাদা ডেটা স্ট্রিম পাঠানো হয়েছে। ফলে গড়ে প্রতি কিলোমিটারে ডেটা স্থানান্তরের গতি দাঁড়িয়েছে ১.৮৬ এক্সাবিট, যা এ পর্যন্ত রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ গতি।
 
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে ৮কে ভিডিও স্ট্রিমিং, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি এবং বৃহৎ ডেটা বিশ্লেষণের মতো উন্নত কাজকে আরও সহজ ও দ্রুত করে তুলবে। যেহেতু নতুন কেবলটি প্রচলিত অপটিক কেবলের মতোই, তাই বিদ্যমান অবকাঠামো ব্যবহার করেই এর বাস্তবায়ন সম্ভব এবং বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
 
গতি পরিমাপের তুলনায় দেখা গেছে, জাপানের এই ইন্টারনেট ভারতের গড় ৬৩.৫৫ মেগাবিট-প্রতি-সেকেন্ড গতির চেয়ে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ গুণ দ্রুত এবং যুক্তরাষ্ট্রের গড় গতির চেয়ে প্রায় ৩৫ লাখ গুণ বেশি।
 
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধু উচ্চগতির ইন্টারনেট নয়, বরং ভবিষ্যতের স্মার্ট সোসাইটির ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]