ইউক্রেনে অস্ত্র দেয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের, রাশিয়ার ওপর কঠোর শুল্কারোপের হুমকি

আপলোড সময় : ১৫-০৭-২০২৫ ১১:৪৭:৫১ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৫-০৭-২০২৫ ১১:৪৭:৫১ পূর্বাহ্ন

নতুন করে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৪ জুলাই) হোয়াইট হাউসে ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি ঘোষণা দেন, ইউক্রেনকে পাঠানো হবে অত্যাধুনিক অস্ত্র—এর মধ্যে থাকবে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম, যা ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
 

ট্রাম্প বলেন, “আমরা অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরি করছি, যা ন্যাটোর মাধ্যমে ইউক্রেনে পাঠানো হবে। ইউরোপীয় দেশগুলো এর খরচ বহন করবে।”

 

তিনি আরও হুঁশিয়ারি দেন, আগামী ৫০ দিনের মধ্যে যদি রাশিয়া শান্তিচুক্তিতে সম্মত না হয়, তাহলে রাশিয়ার ওপর আরোপ করা হবে ১০০ শতাংশ সেকেন্ডারি ট্যারিফ। শুধু রাশিয়া নয়, যারা রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাবে—যেমন ভারত, চীন বা অন্যান্য দেশ যারা রুশ জ্বালানি কিনছে—তাদেরও এই শাস্তির আওতায় আনা হবে। লক্ষ্য একটাই: রাশিয়ার যুদ্ধ তহবিলে অর্থ প্রবাহ বন্ধ করা।

 

এই ঘোষণার দিনই কিয়েভে বৈঠক করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন দূত কিথ কেলগ। আলোচনায় উঠে আসে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদন ও ক্রয় পরিকল্পনা।

ট্রাম্প তার বক্তব্যে রুশ প্রেসিডেন্ট  ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “পুতিন ভালো কথা বলেন, তারপর রাতে বোমা মারেন।” একসময় পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও এখন ট্রাম্পের অবস্থান একেবারেই বিপরীত।

 

এদিকে, রাশিয়া একরাতে ছুড়েছে ৬০০’র বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র, যাতে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং প্রাণহানি ঘটেছে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনও প্রতিরক্ষা জোরদার করছে।
 

চিত্রটা বদলে যাচ্ছে—ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র এখন ইউক্রেনকে আরও সরাসরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত, আর রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ছে বহুমাত্রিকভাবে।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]